বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের (Bengal Pro T20 League) দ্বিতীয় সংস্করণের আসরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবারের ম্যাচে অ্যাডামাস হাওড়া ওয়ারিয়র্স ১০ রানে পরাজিত করল সবিসকো মালদাকে। সেই সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করল তারা। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচে তিনটি জয় নিয়ে হাওড়ার পয়েন্ট এখন ৭, যেখানে মালদা সমসংখ্যক ম্যাচ খেলেও ৫ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেল চতুর্থ স্থানে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হাওড়া ওয়ারিয়র্স শুরুটা একটু ধীরগতিরই করে। কিন্তু ইনিংসের মাঝপথে শশাঙ্ক সিং এবং আদিত্য পুরোহিতের দারুণ জুটি দলকে ভালো রানের ভিত গড়ে দেয়। শশাঙ্ক ৪৭ বলে ৫৬ রান করে। অন্যদিকে, আদিত্য পুরোহিত মাত্র ২২ বলে ঝোড়ো ৪১ রানের ইনিংস খেলে মালদার বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন।
জয়বীরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তিনি ২৭ বলে ২৮ রান করেন। তবে মালদার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ পেসার মুকেশ কুমার। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলার পর এই ম্যাচে ফিরে এসে তিনি ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। তাঁর লাইন-লেংথে ছিল আগ্রাসী মনোভাব, যা হাওড়ার মিডল অর্ডারকে কিছুটা নড়বড়ে করেছিল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মালদা দল ভালো শুরু করলেও মাঝপথে উইকেট হারাতে শুরু করে। ওপেনার আখিল ২৫ বলে ৩১ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, প্রয়োজনীয় রানে চাপ বাড়তে থাকে। রানের গতি ধরে রাখতে ব্যর্থ হন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ঋত্বিক চ্যাটার্জি ২৫ বলে ২৮ রান করলেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
হাওড়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সুজিত কুমার যাদব। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তাঁর নিয়ন্ত্রিত বোলিং মালদার মিডল অর্ডারকে দমিয়ে দেয়। এছাড়া, সাক্ষম শর্মা, দেবাংশু পাখিরা, রোহিত ও আমির গনি প্রত্যেকে একটি করে উইকেট তুলে নেন।
শেষ পর্যন্ত মালদা দল ২০ ওভারে ১৫১/৬ রান করে থেমে যায়। হাওড়া ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক ম্যাচ শেষে বলেন, “আমাদের দল দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। প্রত্যেকে নিজের ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করছে। শশাঙ্ক এবং আদিত্যর ব্যাটিং ছিল দুর্দান্ত। বোলাররাও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছে।”
এই জয়ের ফলে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠল। হাওড়া এখন শীর্ষে থাকলেও অন্য দলগুলিও ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। পরবর্তী ম্যাচগুলো যে আরও উত্তেজনায় ভরপুর হবে, তা বলাই বাহুল্য।