অয়ন দে, উত্তরবঙ্গ: শনিবার কোচবিহার শহর জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ২১ জুলাই শহীদ দিবসের (Shahid Diwas) প্রচার কর্মসূচি। প্রতি বছরের মতো এবারও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ঐতিহাসিক শহীদ সমাবেশ। এই সমাবেশকে সফল করতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস শনিবার থেকে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচারের সূচনা করেছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের চেনা স্লোগানে ঢেকে গেছে দেওয়ালগুলি।
“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ”, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ”, “দিদির ডাকে বারবার – কোচবিহার, কোচবিহার” – এই ধরনের স্লোগানে মুখরিত হয়েছে কোচবিহারের রাস্তাঘাট। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ পার্থ প্রতিম রায়। তাঁর নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী-সমর্থক সক্রিয়ভাবে দেওয়াল লিখনে অংশ নেন।
পার্থ প্রতিম রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “২১ জুলাই শুধু একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটি বাঙালির গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের প্রতীক। ১৯৯৩ সালে সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলনরত ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী শহীদ হয়েছিলেন। তাঁদের স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানাতে আমরা প্রতি বছর এই দিনটি পালন করি। এবারও কোচবিহার থেকে হাজার হাজার কর্মী কলকাতার শহীদ সমাবেশে যোগ দেবেন।”
তিনি আরও জানান, “দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে আমাদের প্রচার শুরু হয়েছে। আগামী দিনে বুথ স্তর, অঞ্চল এবং ব্লক স্তরে পথসভা, মিছিল ও জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে। আমাদের লক্ষ্য হল শহীদ দিবসের মাধ্যমে দলের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ জাগানো এবং গণতন্ত্র রক্ষার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।”
দলীয় কর্মীদের মধ্যে এই কর্মসূচি নিয়ে প্রবল উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের দেওয়াল লিখন সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এই ধরনের প্রচারে দলের সংগঠনের শক্তি ফুটে ওঠে। ২১ জুলাই শহীদ দিবস আমাদের কাছে একটি আবেগের দিন।”
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কলকাতায় মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। কোচবিহার জেলা তৃণমূল এই সমাবেশে অংশ নিতে ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে, যা আগামী দিনে আরও তীব্রতর হবে।