ভারতের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনাল আয়োজনের আকাঙ্ক্ষা, আরও একবার ভেঙে গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) আগামী তিনটি ফাইনাল ইংল্যান্ডে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনটি ডব্লিউটিসি ফাইনাল ইংল্যান্ডের তিনটি ভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে—২০২১ সালে সাউথ্যাম্পটনের রোজ বোল, ২০২৩ সালে লন্ডনের দ্য ওভাল এবং ২০২৫ সালে লর্ডস। দ্য টেলিগ্রাফের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না হলেও, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা, যারা বহু বছর ধরে ফাইনাল আয়োজনের অধিকার পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছে।
আগামী জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হলে, ২০২৯-৩১ চক্র পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ডব্লিউটিসি ফাইনালের ভেন্যুতে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় থাকবে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ECB) মৌখিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চলমান ডব্লিউটিসি ফাইনালে লর্ডসে টিকিট বিক্রির দুর্দান্ত সাফল্য ইংল্যান্ডের পক্ষে শক্তিশালী যুক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
ইংল্যান্ডের লজিস্টিক সুবিধা, ঐতিহাসিক মর্যাদা এবং লন্ডনের বৈশ্বিক ভ্রমণ কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব আইসিসিকে এই সিদ্ধান্তের দিকে ঝুঁকতে উৎসাহিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ইতিহাস ও মর্যাদার কারণে লর্ডস ২০২৭ সালের ফাইনাল আয়োজনের জন্য শীর্ষ পছন্দ হবে, তবে কোথায় খেলা হবে তা নিয়ে আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। লন্ডন বৈশ্বিক ভ্রমণ কেন্দ্র হওয়ায় এটি স্বাভাবিক পছন্দ, তবে উত্তরাঞ্চলের ভেন্যুগুলোও বিবেচনায় আসতে পারে।”
ভারত এখন পর্যন্ত দুটি ডব্লিউটিসি ফাইনালে খেললেও কখনও এটি আয়োজনের সুযোগ পায়নি। বিসিসিআই গত ছয় বছর ধরে এই মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্ট আয়োজনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সচিব জয় শাহ বর্তমানে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যার কারণে অনেকে মনে করেছিলেন যে এবার ভারতের পক্ষে সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ও লজিস্টিক বিষয়গুলো ভারতের সম্ভাবনাকে ছাপিয়ে গেছে।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটীয় ঐতিহ্য এবং আধুনিক সুবিধা তাদের পক্ষে কাজ করছে। ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা এই সিদ্ধান্তে হতাশ হলেও, বিসিসিআই ভবিষ্যতে ফাইনাল আয়োজনের জন্য আরও জোরালোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।