যুবকদের অভিনব উদ্যোগে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে জলের ব্যবস্থা

অয়ন দে, উত্তরবঙ্গ: প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে গোটা উত্তরবঙ্গ। রাস্তাঘাট শুনশান, জলাশয় ও নালা শুকিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় পাখিদের জলের তৃষ্ণা মেটাতে অভিনব…

North Bengal KamakhyaguriVolunteers Provide Water for Birds Amid Heatwave

অয়ন দে, উত্তরবঙ্গ: প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে গোটা উত্তরবঙ্গ। রাস্তাঘাট শুনশান, জলাশয় ও নালা শুকিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় পাখিদের জলের তৃষ্ণা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কামাখ্যাগুড়ি ভলেন্টিয়ার (Kamakhyaguri Volunteers) অর্গানাইজেশন। শুক্রবার বিকেলে সংস্থার সদস্যরা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ছিপড়া জঙ্গল এলাকায় মাটির হাঁড়ি ও প্লাস্টিকের কৌটোয় জল ভরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এই উদ্যোগ পাখিদের জন্য জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

   

Read HindI: पक्षियों की प्यास बुझाने को युवाओं की अनोखी पहल

সংস্থার কর্মকর্তা উদয় শঙ্কর দেবনাথ জানিয়েছেন, “প্রতি বছর গ্রীষ্মের সময় আমরা পাখিদের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য এই উদ্যোগ নিয়ে থাকি। এবারও আমরা ছিপড়া জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে মাটির হাঁড়ি ও প্লাস্টিকের কৌটোয় জল ভরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছি। আগামী সাত দিন ধরে জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় এই কাজ চলবে।” তিনি আরও বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে পাখিরা সহজেই জল পাবে, যা তাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

Advertisements

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জার দেবাশীষ মণ্ডল এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “প্রচণ্ড গরমে জঙ্গলের পাখিরা জলের অভাবে কষ্ট পায়। কামাখ্যাগুড়ি ভলেন্টিয়ার অর্গানাইজেশনের এই মানবিক উদ্যোগ প্রশংসনীয়।” বন দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ পরিবেশ সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

স্থানীয় বাসিন্দারাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। একজন স্থানীয় বাসিন্দা, রমেশ বর্মন, বলেন, “গরমে পাখিদের জল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই ধরনের কাজ শুধু পাখিদেরই নয়, আমাদের পরিবেশের জন্যও উপকারী।” সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা এই কাজ নিয়মিত করেন এবং ভবিষ্যতেও এটি চালিয়ে যাবেন।

এই উদ্যোগ জঙ্গলের পাখিদের জন্য একটি জীবনদায়ী সহায়তা। গরমে যখন জলের উৎস শুকিয়ে যায়, তখন এই ধরনের কাজ পাখিদের বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেয়। কামাখ্যাগুড়ি ভলেন্টিয়ার অর্গানাইজেশনের এই প্রচেষ্টা পরিবেশের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।