২০১৬ সালে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির (Jobless) অভিযোগে বাতিল হয়ে গিয়েছিল গোটা প্যানেল। সুপ্রিম কোর্ট এই প্যানেলকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি’ বলে অভিহিত করে নিয়োগ বাতিল করে দেয়। ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারান। যদিও এরপর শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে(Jobless) নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনেই রাজ্য সরকার ৩০ মে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আগামী ১৬ জুন থেকে আবেদনপত্র বিলি শুরু হবে এবং তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে(Jobless)
তবে এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান না বহু ‘যোগ্য’ চাকরিহারা প্রার্থী। তাঁদের যুক্তি, যাঁরা একবার পরীক্ষায় সফল হয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং চাকরি (Jobless) করছিলেন, তাঁদের আবার নতুন করে (Jobless) পরীক্ষা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বরং তাঁদের দাবি, সরকার ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের আলাদা করে চিহ্নিত করুক এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে তাঁদের চাকরি ফেরত দেওয়া হোক নিঃশর্তে।(Jobless)
এই দাবিকে সামনে রেখে শুক্রবার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন ‘যোগ্য চাকরিহারা অধিকার রক্ষা মঞ্চ’-এর একটি প্রতিনিধিদল। তাঁরা স্পিকারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন এবং পাঁচ দফা দাবি জানান, যার মধ্যে রয়েছে:(Jobless)
ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ(Jobless)
‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের পৃথক তালিকা প্রকাশ(Jobless)
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ
নিঃশর্তভাবে ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের চাকরি ফেরত দেওয়া(Jobless)
নতুন বিজ্ঞপ্তির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা(Jobless)
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দাবিগুলি গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং আশ্বাস দেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার সবসময় চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই সমস্ত কিছু করা হচ্ছে।(Jobless)
এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে চাকরিহারাদের মধ্যে। তাঁরা মনে করছেন, নতুন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবারও তাঁদের ‘যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, যা তাঁদের জন্য অপমানজনক। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন—“যেখানে আমরা একবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, সেখানে আবার কেন নতুন করে পরীক্ষা দেব? আমরা তো দুর্নীতির অংশ নই, আমরা তো যোগ্য ছিলাম।”
এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে এবং তাতে কারও সঙ্গে অবিচার করা হবে না। তবে ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা যে আন্দোলন শুরু করেছেন, তা আরও জোরালো হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।(Jobless)