চেনাব রেল সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তবে এই ঐতিহাসিক প্রকল্পের সূচনা ও পরিকল্পনার মূল কৃতিত্ব সম্পূর্ণরূপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের,(Mamata Banerjee) এমনটাই দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি চেনাব নদীর ওপর তৈরি রেল সেতুর উদ্বোধন করেন, কিন্তু তৃণমূল নেতাদের মতে, এই প্রকল্পের যে ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল তা হয়েছিল ১৭ বছর আগে, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের রেলমন্ত্রী ছিলেন।(Mamata Banerjee)
২০০৯ সালের রেল বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সংসদে এই ঐতিহাসিক(Mamata Banerjee) প্রকল্পের পর্যালোচনা করেছিলেন এবং কাশ্মীরে রেলের বিস্তারকে সামনে রেখে এক বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মমতা জানান, কাশ্মীরের রেল পরিকাঠামোর বিস্তৃতি ঘটানোর জন্য একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। (Mamata Banerjee) এছাড়া, তখন তিনি জানিয়ে দেন যে, কাশ্মীরের অনন্তনাগ-কাজিগুন্ড রেল লাইনের উদ্বোধন খুব শীঘ্রই হবে। এর পরেই, ২০১০ সালের বাজেট বক্তৃতায় তিনি কাশ্মীরে রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরো বিস্তারিত ঘোষণা করেন এবং ২০১১ সালে(Mamata Banerjee) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে কাশ্মীরের অনন্তনাগ-কাজিগুন্ড অংশে ট্রেন চলাচল শুরু করেন(Mamata Banerjee)
তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, মোদির সরকার কেবল প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে, কিন্তু প্রকল্পের বাস্তবায়ন এবং(Mamata Banerjee) তার পরিকল্পনা ছিল সম্পূর্ণরূপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। কুণাল ঘোষ বলেন, “কালের নিয়মে প্রকল্প শেষ হতে সময় লেগেছে, তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি চেনাব রেল সেতুর উদ্বোধন করেছেন। তবে ভারতীয় রেলের নথি, ইতিহাস এবং সংসদের তথ্য বলছে যে, এই ঐতিহাসিক প্রকল্পের সূচনা এবং কাশ্মীরে আধুনিক রেল পরিকাঠামোর বিস্তারের ভাবনা সম্পূর্ণরূপে মমতা(Mamata Banerjee) বন্দ্যোপাধ্যায়ের।”
রেলের বিস্তার এবং মমতার পরিকল্পন(Mamata Banerjee)
প্রকল্পটি কেবল চেনাব সেতুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে কাশ্মীরের অন্যান্য রেল প্রকল্পও সম্পর্কিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে রেলমন্ত্রকের নানাবিধ পদক্ষেপ এবং প্রকল্প(Mamata Banerjee) বাস্তবায়নের পথে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে মমতা রেলের বাজেট বক্তৃতায় জম্মু ও কাশ্মীরে একটি ব্রিজ ফ্যাক্টরি এবং ইনস্টিটিউট ফর টানেল অ্যান্ড ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চলে রেললাইন পাতার জন্য অসংখ্য টানেলের প্রয়োজন ছিল, এবং সে কারণে মমতা এই প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলেন(Mamata Banerjee)
এছাড়া, রেলের বিস্তার এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে রেল পরিবহণ ব্যবস্থা আরও দ্রুত উন্নতি লাভ করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়ে রেলের বাজেটের পরিকল্পনা পুরোপুরি আধুনিকীকরণের দিকে নেওয়া হয়েছিল এবং ওই সময়ই রেলপথের সংস্কার, আধুনিক স্টেশন নির্মাণ, এবং কাশ্মীরের রেল কাঠামোর উন্নয়ন ছিল মূল লক্ষ্য(Mamata Banerjee)
মোদি সরকারের ভূমিক(Mamata Banerjee)
বর্তমানে মোদি সরকারের ভূমিকা কেবল এই প্রকল্পটির উদ্বোধনে সীমাবদ্ধ। চেনাব রেল সেতুর উদ্বোধন কেবল একটি অনুষ্ঠানিক কার্যক্রম ছিল, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি(Mamata Banerjee) উপস্থিত ছিলেন। তবে, তৃণমূলের অভিযোগ, মোদি সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের মূল কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যদিও প্রকল্পটির পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অপরিসীম(Mamata Banerjee)
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়(Mamata Banerjee)
এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীরে রেলপরিকাঠামোর প্রসার এবং উন্নয়নের মূল উদ্যোগ ছিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি যে রেল বাজেটে কাশ্মীরের রেলের জন্য পরিকল্পনা করেছেন এবং তার বাস্তবায়ন করেছেন, সেটি কোনও ভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়।(Mamata Banerjee)
তবে, মোদির সরকারের পক্ষ(Mamata Banerjee) থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধনকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক দূরদর্শিতা এবং নেতৃত্বের কারণেই কাশ্মীরের রেলপ্রকল্প আজ সফল হয়ে উঠেছে।