তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়। (Anubrata Mondal) রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবার নজরেই তাঁর ভূমিকা(Anubrata Mondal) নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে বহুদিন ধরেই। তবে সম্প্রতি বোলপুরের এসডিপিও অফিসে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।(Anubrata Mondal)
যেখানে সাধারণ মানুষ বা রাজনৈতিক দলের অন্য সদস্যদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী (Anubrata Mondal) সংস্থাগুলি কঠোর অবস্থান নেয়, সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রভাবশালী নেতার প্রতি পুলিশের এতটা ‘সহানুভূতি’ কি নিছক কাকতালীয়? নাকি এর পিছনে আছে রাজনৈতিক প্রভাব?(Anubrata Mondal)
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অনুব্রতকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যেখানে ৯৫টি প্রশ্ন তাঁকে করা হয়। এই প্রশ্নগুলির প্রায় ৭৫ শতাংশের উত্তর দেওয়া যেত শুধুই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে। অথচ আশ্চর্যের বিষয়, অধিকাংশ প্রশ্নেই তিনি উত্তর দিয়েছেন অস্পষ্টভাবে বা জানিয়েছেন যে কিছু মনে নেই(Anubrata Mondal)
তিনি দাবি করেন, তিনি নিয়মিত নার্ভের ওষুধ খান, ফলে স্মৃতি ধূসর হয়ে যায়। এমনকি, বোলপুর থানার আইসি লিটন দাসকে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করার কথাও (Anubrata Mondal) তাঁর মনে নেই। পুলিশ যখন প্রশ্ন করে যে, তিনি ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন কি না, তখনও তিনি পরিষ্কারভাবে (Anubrata Mondal) অস্বীকার করেন এবং বলেন, ‘আমি আর কোনও কথা বলিনি’।
তবে বড় প্রশ্ন এখানেই। যদি তিনি কিছু না করে থাকেন(Anubrata Mondal) তাহলে কেন তৃণমূলের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিলেন? অনুব্রতের ভাষায়, “নেত্রী যা বলেন, তা-ই আমার কাছে আদেশ। তিনি ভগবানের মতো।” এই বক্তব্য তাঁর উপর দলীয় নিয়ন্ত্রণ এবং তাঁর একান্ত আনুগত্যকে স্পষ্ট করে তোলে(Anubrata Mondal)
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ কি সত্যিই নিরপেক্ষ ভূমিকা নিচ্ছে? যদি একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এত সহজে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে পার পেয়ে যান, তাহলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কোথায় দাঁড়াবে?(Anubrata Mondal)
অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধুমাত্র হুমকি বা গালিগালাজে(Anubrata Mondal) সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে। অথচ এখন পর্যন্ত তাঁকে কোনও জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়নি, বরং খোশ মেজাজেই এসডিপিও-র দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে তাঁকে(Anubrata Mondal)
এই পরিস্থিতি থেকেই জন্ম নিচ্ছে আরও একটি প্রশ্ন—এবার পুলিশ সত্যিই কি অনুব্রতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে? নাকি আবার রাজনৈতিক চাপ বা ‘উপরে’ নির্দেশ আসার অপেক্ষায় সময় কাটবে(Anubrata Mondal)
এখানে মনে রাখা জরুরি, আইনের চোখে সবাই সমান।(Anubrata Mondal) কিন্তু বাস্তবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যেন সেই সমতার সীমার বাইরে। তদন্তে পুলিশের এই মন্থরতা এবং নমনীয়তা যদি এভাবেই চলতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়বে প্রশাসনিক স্বচ্ছতার উপর(Anubrata Mondal)
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ফের উত্তেজনার পারদ চড়ছে। বিরোধীরা বলছে, “এটাই তৃণমূলের আসল চেহারা।” অনেকে প্রশ্ন তুলছে, “পুলিশ কি কেবল দর্শক হয়ে থাকল?(Anubrata Mondal)
তবে এও ঠিক, যতই প্রভাবশালী হোন না কেন, আইনের হাত দীর্ঘ। পুলিশ যদি নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তবে সত্যের মুখোমুখি একদিন হতেই হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। এখন শুধু দেখার, সেই দিন কতদূর।(Anubrata Mondal)