বোলপুর: সপ্তাহখানেক ধরে চলা বিতর্কের পর অবশেষে এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা নাগাদ তিনি হাজির হন বোলপুর এসডিপিও কার্যালয়ে।
এই হাজিরার প্রেক্ষাপটে রয়েছে একটি ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ, যেখানে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে গালিগালাজ ও কটূক্তি করতে শোনা যায় অনুব্রতকে। অডিওটি সামনে আসার পরই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক ও পুলিশি তৎপরতা।
ভাইরাল অডিও ক্লিপ, মামলা ও অনুপস্থিতি
গত বৃহস্পতিবার (এক সপ্তাহ আগে) সেই অডিও ক্লিপ সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরদিনই অনুব্রত মণ্ডল ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চান তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে। তবে একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এটি ‘একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত’।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর থানার পুলিশ হুমকি ও অসদাচরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে, এবং শনিবার অনুব্রতকে এসডিপিও দফতরে হাজিরা দিতে নোটিস পাঠানো হয়।
শনিবার তিনি অনুপস্থিত থাকায় আবার রবিবার সকাল ১১টায় হাজিরার দ্বিতীয় নোটিস পাঠানো হয়। তবুও রবিবার তিনি যাননি। তাঁর হয়ে হাজির হন আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য, পলাশ দাস এবং ঘনিষ্ঠ নেতা গগন সরকার। তাঁরা জানান, অনুব্রত শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পাঁচ দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে আছেন। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও জমা দেওয়া হয় তদন্তকারী অফিসারের কাছে।
অবশেষে হাজিরা ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত Anubrata Mondal SDPO office
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার, সাত দিন পর অনুব্রত এসডিপিও অফিসে যান কেষ্ট। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, আইসি লিটন হালদারেরও দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যাতে তদন্তে অডিয়ো ক্লিপ সংক্রান্ত সব দিক খতিয়ে দেখা যায়।
এই অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বর ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ক্লিপটি কীভাবে বাইরে ছড়াল, তা নিয়েও পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ।
আইসি’র বিরুদ্ধেও তদন্ত
এদিকে শুধু অনুব্রতের নয়, আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়িত্বে গাফিলতি বা তথ্য ফাঁসের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।