নিঃসন্দেহে রাজ্যের শিক্ষা এবং প্রশাসনিক মহলে এক তীব্র আলোড়নের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা (SSC) । সম্প্রতি কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের (SSC) সামনে এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে, যেখানে পুলিশি অনুমতি ছাড়াই ছয়জন মহিলা চাকরিহারা (SSC) প্রতিনিধি দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। যদিও তাঁদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি, তবুও এই ঘটনার রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রশাসনিক তাৎপর্য গভীর।
চাকরিহারাদের আকুতি: হতাশা আর বেদনার প্রতিচ্ছবি(SSC)
এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সঙ্গীতা সাহা, রূপা কর্মকার, স্মৃতি রায়, নূর আমিনা গুলশন, শিল্পী চক্রবর্তী এবং সাহানি নাজনিন। তাঁদের কথায় ফুটে উঠেছে গভীর মানসিক চাপ এবং অনিশ্চয়তার(SSC) ছাপ। সঙ্গীতা সাহা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, “আমাদের মানসিক যা অবস্থা, তাতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট (SSC) নেওয়ার সময় নেই। আমরা বারবার সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি, আমাদের সঙ্গে কথা বলুক।”
তাঁদের এই আকস্মিক পদক্ষেপের (SSC) মূল উদ্দেশ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি(SSC) দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তাঁরা আশাবাদী ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কষ্ট বুঝবেন, সময় দেবেন এবং তাঁদের দাবির(SSC) প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, এবং সূত্র অনুযায়ী, তাঁদের আটকও করা হয়।
প্রশাসনের কড়া অবস্থান ও মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা(SSC)
এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন—চাকরিহারাদের পুনর্নিয়োগের আগে নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে। তিনি জানান, আগামী(SSC) ৩০ মে এসএসসির নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হবে(SSC) এবং সেই অনুযায়ী পরীক্ষার প্রক্রিয়াও শুরু হবে। পাশাপাশি, যাঁরা আদালতের রায় অনুযায়ী “যোগ্য” প্রমাণিত হবেন, তাঁদের জন্য রিভিউ পিটিশনের রায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
এই বক্তব্যে পরিষ্কার, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। তবে এই অবস্থান চাকরিহারাদের মধ্যে(SSC) চরম হতাশা ও বিক্ষোভের জন্ম(SSC) দিয়েছে। তাঁদের মতে, যাঁরা একবার যোগ্য প্রমাণিত হয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের আবার পরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশ অন্যায় এবং মানসিকভাবে পীড়াদায়ক।(SSC)
বৃহত্তর প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশ(SSC)
এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র কিছু চাকরিহারা প্রার্থীর কষ্টের গল্প নয়, এটি আমাদের প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, পরীক্ষা ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্নকেও সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।(SSC)
প্রশ্ন উঠছে—একবার স্বীকৃত “যোগ্য” প্রার্থীদের কেন আবার পরীক্ষা দিতে হবে? আবার একইসঙ্গে এই প্রশ্নও উঠে আসছে—কীভাবে এত সংখ্যক নিয়োগে দুর্নীতি ঘটলো, এবং তার দায়ভার কে নেবে(SSC)
চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি উঠছে, তাঁদের যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে মূল্যায়ন করা হয়। তাঁরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেও, (SSC) পুনরায় পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা তাঁদের প্রতি অবিচার বলে মনে করছেন।
রাজ্য জুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী যেমন বলেছেন, রিভিউ পিটিশনের রায়ের উপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তেমনি চাকরিহারাদেরও আস্থা রাখতে হবে আইন এবং ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়ায়(SSC)
তবে প্রশাসনেরও দায়িত্ব রয়েছে, এই দুর্বিষহ (SSC) পরিস্থিতিতে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা। না হলে, কেবল আইনি প্রক্রিয়া নয়, রাজ্যের ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থার উপরও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে, এবং তার দায় কেউই এড়াতে পারবেন না।