OBC Certificate: OBC সার্টিফিকেট নিয়ে রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা

ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) নিয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এর মধ্যেই রাজ্য সরকার নতুন পদক্ষেপ হিসেবে অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি নিয়ে সমীক্ষা শুরু করার…

New Guidelines by State Government on OBC Certificate

short-samachar

ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) নিয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এর মধ্যেই রাজ্য সরকার নতুন পদক্ষেপ হিসেবে অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি নিয়ে সমীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সমীক্ষার কাজ ৮ মার্চ থেকেই শুরু হওয়ার কথা এবং জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

   

রাজ্য সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রত্যেক ব্লক এবং মহকুমায় সংশ্লিষ্ট কর্মী বা অফিসারদের এই সমীক্ষায় যুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই তাদের নামের তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে জানা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে চলমান মামলার জটিলতা এবং সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকার এই সমীক্ষা আয়োজন করতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর কলকাতা হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয়, যেখানে ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য দেওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের ফলে এক ধাক্কায় ১২ লক্ষেরও বেশি ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে, যেখানে আপাতত মামলার শুনানি চলছে।

রাজ্যের সরকারি চাকরি, স্কলারশিপ এবং বিভিন্ন ভর্তির ক্ষেত্রে এই ওবিসি মামলার কারণে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনও একাধিক পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা। এই কারণে অনেক প্রার্থীদের জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সমীক্ষা শুরু হওয়ার পর তথ্য সংগ্রহ, যাচাই এবং অগ্রগতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশ করা হবে। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে ওবিসি শংসাপত্র পুনরায় দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নির্দেশিকা তৈরি করা।

এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা এমন একটি সময়কালে এসেছে, যখন কিছু ক্ষেত্রে বিচারক এবং প্রশাসনিক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার আশাবাদী যে, এই সমীক্ষার মাধ্যমে অবশেষে সুষ্ঠু ও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

তবে, এখনও অনেক কিছু স্পষ্ট হয়নি এবং সমীক্ষা সম্পন্ন হলে কীভাবে এই সমস্যা সমাধান হবে, তা সময়ই বলবে। সবার চোখ এখন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশের দিকে।