সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল

মাঝেরহাটে সিগন্যাল বিভ্রাটের (Train Service Disrupted) কারণে সোমবার সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সিগন্যালিংয়ে বিভ্রাট…

Signal Disruption Causes Train Service Disruption on Sealdah South Branch

short-samachar

মাঝেরহাটে সিগন্যাল বিভ্রাটের (Train Service Disrupted) কারণে সোমবার সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সিগন্যালিংয়ে বিভ্রাট লক্ষ্য করা যায়। তার ফলে একের পর এক স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে লোকাল ট্রেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল মাঝেরহাট, আলিপুর, বজবজ, টালিগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। যাত্রীরা ট্রেনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। এর ফলে একদিকে যেমন যাতায়াতকারীরা ভোগান্তির শিকার হন, তেমনি অপরদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্যও পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে ওঠে। আজ থেকেই শুরু হয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা।

   

প্রথম দিনেই ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত ছিল তারা ও তাদের অভিভাবকরা। এদিন সকাল ১০টা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় এবং বেলা ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলতে থাকে। চলতি বছর ৫ লক্ষ ৯ হাজার পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম।

তবে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়, সিগন্যাল বিভ্রাট কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। এরপর ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে কিন্তু ধীরগতির কারণে যাত্রীরা অফিস টাইমে ভোগান্তির শিকার হন। অনেক যাত্রী বিকল্প পথে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে সকাল থেকে একের পর এক স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কয়েকটি ট্রেন বিলম্বিত হয়ে যায়। তবে আধঘণ্টার মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায় কিন্তু তা সত্ত্বেও ধীরগতিতে চলছিল।

এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে SFI। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও, রাজ্য পুলিশ এবং রেল কর্তৃপক্ষ একযোগে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন যাতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা না হয়। পুলিশ রাস্তায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করে এবং হেল্পলাইন নম্বর চালু করে। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা সহজে যোগাযোগ করতে পারেন, তাদের জন্য সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা হয়।

এর পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। যাতে পরীক্ষা চলাকালীন কোনওরকম অশান্তি বা ভিড় সৃষ্টি না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছিল। এছাড়া, রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের সহায়তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল যাতে সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে কোনও বিরতি সৃষ্টি না হয়। পুলিশ প্রশাসন এবং রেল কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসে।