আবারও উত্তরপ্রদেশের রেললাইনে গ্যাস সিলিন্ডার!

আবারও উত্তরপ্রদেশের রেললাইনে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটাবার (Train Accident) চেষ্টা করা হল। এমনটাই মনে করছেন নাগরিকদের একাংশ। এর আগেও এই একই ঘটনা ঘটেছিল…

GYAS আবারও উত্তরপ্রদেশের রেললাইনে গ্যাস সিলিন্ডার!

আবারও উত্তরপ্রদেশের রেললাইনে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটাবার (Train Accident) চেষ্টা করা হল। এমনটাই মনে করছেন নাগরিকদের একাংশ। এর আগেও এই একই ঘটনা ঘটেছিল প্রয়াগরাজে। এবার সেই একই চিত্র ধরা পড়লো কানপুরে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, পেরাম্বুর স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে রেললাইনের ওপর একটি ছোট গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। এই স্টেশন উত্তর-মধ্য রেলের প্রয়াগরাজ ডিভিশনের অন্তর্গত। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই লাইনের ওপর দিয়েই একটি মালগাড়ি আসছিল, এবং মালগাড়ির চালক সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

যখন চালক গ্যাস সিলিন্ডারটিকে দেখতে পান, তখন তিনি বুঝতে পারেন যে এটি একটি গুরুতর বিপদের কারণ হতে পারে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি জরুরি ব্রেক কষেন এবং মালগাড়িটিকে থামান। গ্যাস সিলিন্ডারটি রেললাইনের মাঝেই পড়ে থাকার ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, যা বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারতো।

   

প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতিকে কুণালের শুভেচ্ছা!

চালকের সতর্কতা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অনেকেই তাঁকে প্রশংসা করছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং রেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সিলিন্ডারটি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং রেল কর্তৃপক্ষ আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ পেতে শুরু করেছে, কেননা এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আরপিএফ এবং রেলের শীর্ষকর্তারা এই বিষয়ে তদন্ত করা শুরু করেছে।

এর আগেও, সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রয়াগরাজের রেললাইনে একটি বড় গ্যাস সিলিন্ডার, সাইকেল, দেশলাই এবং পেট্রল ফেলে রাখা হয়েছিল, যা এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। কালিন্দি এক্সপ্রেস, যা প্রয়াগরাজ থেকে হরিয়ানার ভিওয়ানির দিকে যাচ্ছিল, সেই সিলিন্ডারে ধাক্কা লেগে সিলিন্ডারটি ৫০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। তবে ট্রেনের চালক সতর্কতা দেখিয়ে তৎক্ষণাৎ আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামাতে সক্ষম হন।

প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে যে, ট্রেনটিকে লাইনচ্যুত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই বিপজ্জনক বস্তুগুলো রেললাইনে রাখা হয়েছিল। রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।