মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৯ টায় ইরানের একটি কয়লা খনিতে (Coal mine) দুর্ঘটনা ঘটে। কয়লা খনিতে মিথেন লিকেজের (methane leakage) কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলেই জানা গিয়েছে। ইরানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণে প্রায় ৩০ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরান থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে তাবাসে (Tabas) একটি কয়লা খনিতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। শনিবার গভীর রাতে কয়লা খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ত্রাণ কাজ শুরু করে। তথ্যমতে, বিস্ফোরণের সময় কয়লা খনিতে প্রায় ৭০ জন কাজ করছিলেন।
ইরানে কয়লা খনিতে এমন দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও ইরানে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালে দুটি ভিন্ন খনিতে দুর্ঘটনায় ১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০০৯ সালেও সময়ে সময়ে বহু ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, যাতে ২০ জন শ্রমিক নিহত হয়। ২০১৭ সালে এক কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছিল।
ইরানের খনির এলাকায় ঘন ঘন বিস্ফোরণ ও দুর্ঘটনার জন্য নিরাপত্তা মানকে দায়ী করা হয়। এছাড়াও, যে সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে, সেই সময়ে শ্রমিকরা খনিতে কাজ করছিলেন এবং হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটলে সেখান থেকে পালানোর জন্য কোনও জরুরি পরিষেবা উপলব্ধ ছিল না। এই কারণে, অপর্যাপ্ত জরুরি পরিষেবাগুলি প্রায়শই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়।
একদিকে ইরান তেল উৎপাদনের জন্য পরিচিত। একই সঙ্গে ইরানে অনেক ধরনের খনিজ পদার্থের উৎপাদনও অনেক বেশি। ইরান বছরে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন টন কয়লা ব্যবহার করে কিন্তু প্রতি বছর তার খনি থেকে মাত্র ১.৮ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করে। অবশিষ্ট কয়লা আমদানি করা হয়, যা প্রায়শই দেশের স্টিল মিলের জন্য ব্যবহৃত হয়।