Jharkhand: খনির ভিতরে আটকে অনেকে, চলছে দেহ লোপাট

বেআইনি কয়লা উত্তোলনের সময় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand)  নিরসায় খনির চাঙড় ধসে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ তুঙ্গে। সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা কম দেখানোর অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে ৫…

Jharkhand illegal mining

বেআইনি কয়লা উত্তোলনের সময় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand)  নিরসায় খনির চাঙড় ধসে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ তুঙ্গে। সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা কম দেখানোর অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে ৫ জন মৃত। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য কমপক্ষে ১৫ জনের দেহ বের করা হয়েছে। ভিতরে আটকে অনেকে।

বুধবার সকালেও চলছে উদ্ধার। বিরাট চাঙড় ধসে পড়েছে তিনটি বেআইনি খাদানের উপর। নিরসার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চ্যাটার্জির অভিযোগ, বেআইনি কয়লা উত্তোলনের প্রতিযেগিতা চলছে। এই দুর্ঘটনা তারই ফল।

অবৈধ উত্তোলনের কাজে মাফিয়াদের বিপুল প্রতিপত্তি। ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে কয়লা খাদান এলাকায় অবৈধ উত্তোলন চলছেই। আইএনটিউসি, সিটু সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ,খনি শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রায়ত্ত খনি সংস্থাগুলির বিস্তর গাফিলতি আছে। বেআইনি খনি উত্তোলন তো সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন।

দুর্ঘটনার পর শোক জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরেই ধানবাদ জেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠছে।

পিটিআই জানাচ্ছে, সোমবার নিরসার কাছে অবৈধ খনি থেকে কয়লা উত্তোলন চলাকালীন চাঙড় ভাঙে। এটি ইসিএল অধীনস্ত। রাতেই আরেকটি খনির চাঙড় ধসে পড়ে। এটি বিসিসিএল অধীনস্ত। মঙ্গলবার নিরসার গোপীনাথপুরে আরও একটি খনির চাঙড় ভাঙে। এটি ইসিএল অধীনস্ত। দুর্ঘটনাস্খল নিরসা ও পঞ্চেত থানার অন্তর্গত। ধানবাদ জেলা প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ চলছে। খনি শ্রমিকদের ঠিক কতজন ভিতরে তা স্পষ্ট নয়। তবে ভিতরে অনেকেই আটকে।

ধানবাদ থেকে যে বিস্তৃত খনি অঞ্চল ছড়িয়ে তার একাংশ পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত। সম্প্রতি এই জেলার দুর্গাপুরের ফরিদপুরে খনি দুর্ঘটনায় চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়।