বিজেপির প্রচারে মন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ চাষিদের

আর মাত্র এক পক্ষকাল পরেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভার ভোট গ্রহণ শুরু হবে। কিন্ত গো বলয়ের এই বৃহত্তম রাজ্যের আদৌ স্বস্তিতে নেই বিজেপি। এবার রাজ্যের আখ…

short-samachar

আর মাত্র এক পক্ষকাল পরেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভার ভোট গ্রহণ শুরু হবে। কিন্ত গো বলয়ের এই বৃহত্তম রাজ্যের আদৌ স্বস্তিতে নেই বিজেপি। এবার রাজ্যের আখ চাষিদের প্রবল রোষের মুখে পড়েছেন গেরুয়া দলের নেতারা। ভোট গ্রহণের আগে যা নিশ্চিতভাবেই উদ্বেগে ফেলেছে বিজেপিকে।

   

পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ আখ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এই আখচাষিরা বিজেপির ওপর প্রবল ক্ষুব্ধ। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিক্ষুব্ধ কৃষকরা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে পারে। রাজ্যের আখ উন্নয়ন মন্ত্রী সুরেশ রানা প্রচারে এলে তাঁকে কালোপতাকা দেখিয়েছে আখ চাষিরা। এ থেকেই মনে করা হচ্ছে, এবার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে যথেষ্টই চাপে রেখেছেন আখ চাষিরা।
প্রশ্ন হল, হঠাৎই কেন আখ চাষিরা যোগী সরকারের উপর এত ক্ষুব্ধ হল। জানা গিয়েছে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ১১৩টি চিনি কারখানা কৃষকদের কাছ থেকে ৪৬৫.৩৮ মেট্রিক টন আখ কিনেছে। ২০২১-এর নভেম্বর থেকে তারা চাষিদের কাছ থেকে এই আখ কিনেছে। এ জন্য তারা চাষিদের মিটিয়েছে ৯১৫৭কোটি টাকা। কিন্তু চাষিদের প্রাপ্য আরও অনেক বেশি।

চাষিদের দাবি, তাঁরা আখের দামের ৭০ শতাংশও এখনও পাননি। যোগী সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কোনও কৃষকের কাছ থেকে শস্য কেনা হলে ১৪ দিনের মধ্যে চাষিকে তার প্রাপ্য দাম মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে যোগী সরকারের সেই নির্দেশ মানছে না চিনি কারখানাগুলি। চলতি বছরের পাশাপাশি গত বছরের দাম বাবদ কৃষকরা এখনও ১৫০০ কোটি টাকা পাবেন।

দু’দিন আগে থানা ভবন কেন্দ্রের বিধায়ক তথা উত্তরপ্রদেশের আখ উন্নয়ন মন্ত্রী সুরেশ রানা নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে গিয়েছিলেন। সে সময় স্থানীয় চাষিরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। যদিও মন্ত্রীর দাবি, রাজ্য সরকার সবার আগে কৃষকদের কথা ভাবে। ২০২০-২১ মরসুমে এখনও পর্যন্ত কৃষকদের মোট পাওনার ৯৬ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে তা খুব শীঘ্রই দিয়ে দেওয়া হবে। কৃষকরা যাতে কোনওভাবেই তাঁদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত না হন সে বিষয়টি দেখবে সরকার।