‘কাজ শুরু করুন’, চিকিৎসকদের কাছে বড় আহ্বান সুপ্রিম কোর্টের

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চলছে আন্দোলন। বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দিল্লির এমস সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। বেহাল চিকিৎসা পরিষেবা। সমস্যায় রোগী…

Supreme Court Urges Doctors Protesting Nationwide To Resume Duties, 'কাজ শুরু করুন', চিকিৎসকদের কাছে বড় আহ্বান সুপ্রিম কোর্টের

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চলছে আন্দোলন। বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দিল্লির এমস সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। বেহাল চিকিৎসা পরিষেবা। সমস্যায় রোগী ও তাদের পরিবার। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের এবার কাজে ফেরার অনুরোধ করলেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘যেহেতু আদালত সব চিকিত্সকের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ সম্পর্কিত বিষয়গুলি বিবেচনা করছে, তাই সেই সমস্ত ডাক্তারদের অনুরোধ করছি যাঁরা বর্তমানে কাজ থেকে দূরে রয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাজের স্বার্থেই তাঁরা কাজে ফিরুন।’

ডিভিশন বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতির মনোজ মিশ্রের মতে, চিকিৎসক এবং চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নিশ্চিত হতে পারেন যে তাঁদের উদ্বেগগুলি সুপ্রিম কোর্ট শুনেছে ও সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

   

আরজি করের সুরক্ষায় এবার CISF, নজিরবিহীন সুপ্রিম নির্দেশ

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল আরজি কর মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। দু’মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের সাফ কথা, বিদ্যমান আইনগুলি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত তা বলা যায় না।

আরজি কর মামলায় জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের তরফে ডাঃ সৌম্যদীপ রায় বলেনছেন, ‘আমরা আমাদের কর্মবিরতি এখনই তুলছি না। আজ বিকেল ৪টেয় আমাদের জেনারেল বডি মিটিং আছে। সেই মিটিংয়ের পরে আমরা বাকি সিদ্ধান্ত নেব।’

আরজি করা হাসপাতালের সুরক্ষায় মোতায়েন করা হচ্ছে সিআইএসএফ। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী কি শুধুই আরজি কর হাসপাতালে থাকবে? নাকি সমস্ত হাসপাতালেই থাকবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি থাকেও, তারা কতদিন থাকবে সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা আদালতের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। ক্যাম্পাসেই ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকৃত দোষী। সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখা হবে। আমরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’