রাজ্যে অস্থায়ী চাকরির ক্ষেত্রেও সংরক্ষণ হোক, দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে রাজ্যের অস্থায়ী ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য অন্তত কিছু শতাংশ আসন সংরক্ষণ হোক। রাজ্যে অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও সংবিধান মেনে তফসিলি জাতি, জনজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি, শারীরিক ভাবে অক্ষমদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হোক। তিনি আরও দাবি করেছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরে অস্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সংরক্ষণের কোনও উল্লেখ নেই। এই নিয়ে তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
‘ক্ষমা চাওয়ার বদলে দুঃখপ্রকাশ করুন’, আবেগপ্রবণ ফিরহাদ জবাব দিতেই শুভেন্দুর রাগ গলে জল?
প্রসঙ্গত অস্থায়ী পদে ৬,৬০০ কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। ‘জেলা সিলেকশন কমিটি’ করে নিয়োগ করা হবে। শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’ মেনে চলা হয়, এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি অনুযায়ী মোট শূন্যপদের মধ্যে কত সংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকবে তা-ই লেখা থাকে এই ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’-এ। এটি রাজ্য সরকারের প্রতি ১০০ শূন্যপদে নিয়োগের ক্রমতালিকা। সেখানে বলা হয়, প্রতি ১০০ শূন্যপদে কোন শ্রেণির জন্য কত অনুপাতে আসন সংরক্ষিত থাকবে।
অগস্টে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের দারুন মজা, টানা দু’দফায় লম্বা ছুটির স্বাদ
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্য সরকার সেই নীতি না মেনেই নিয়োগ করতে চলেছে। রাজ্য সরকারের অস্থায়ী পদেও নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’ মেনে সংরক্ষণ কার্যকর করা হোক। তিনি জানিয়েছেন, অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ নিয়ে ‘আইনি জটিলতা’ তৈরি হয়েছে। সেই ‘আইনি জটিলতা’ মিটিয়ে অস্থায়ী, ঠিকা এবং চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতির কার্যকরের জোড়াল দাবি তুলেছেন।