বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট। রেকর্ড গড়ে সেই বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার আগে মঙ্গলবার অর্থিক সমীক্ষাপেশ করেছেন তিনি। দাবি করেছেন, ভারতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতে, কোভিডের ধাক্কা সামলে সরকারের সুচিন্তিত নীতির সুবাদে ভারতীয় অর্থনীতি যে কোনও ধরণের আর্থিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
নির্মলা সীতারমণের দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে অন্তত ৮.২ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে তিনটিতেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি থাকবে। চলতি অর্থবর্ষের এই বৃদ্ধির হার আগামী অর্থবর্ষেও বজায় থাকবে বলে দাবি করা হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। সেটার ভিত্তিতেই বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ।আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির গতির স্থিতাবস্থা নিয়েও আশাবাদী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর দাবি, জিডিপি বৃদ্ধির হার যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই আগামী অর্থবর্ষে নিয়ন্ত্রণে থাকবে মুদ্রাস্ফীতির হার।
সুপ্রিম ধাক্কা বিজেপি শাসিত তিন রাজ্যের! কানোয়ার যাত্রায় ‘নাম’ নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ
আর্থিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার থাকতে পারে ৪.৫ শতাংশ। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্ধারিত মাত্রার মধ্যেই থাকছে। পরের বছর সেটা আরও কমে ৪.১ শতাংশ হতে পারে বলে দাবি।
মুহূর্তে খাদ্যসামগ্রীতে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৫ শতাংশ। যা বেশ উদ্বেগজনক। গত অর্থবর্ষে খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যেখানে ৬.৭ শতাংশ ছিল, সেখানে চলতি অর্থবর্ষে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য বৃষ্টির স্বল্পতা ও ফলন কমকেই দায়ী করা হয়েছে।