জ্যোতির্মতের ৪৬তম শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দের সাফ দাবি, শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে আবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত তাঁর “ব্যথা উপশম হবে না”।
সোমবার মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন ‘মাতোশ্রী’ পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শহ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। সেখানেই তিনি বলেছেন, “আমরা হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং পাপ এবং পুণ্যে বিশ্বাস করি। সবচেয়ে বড় হল যে, পাপ মানে বিশ্বাসঘাতকতা। উদ্ধব ঠাকরে প্রতারিত হয়েছেন।আমি তাঁকে (উদ্ধব ঠাকরে) বলেছিলাম যে, ওঁকে যে বিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল, তাতে আমরা সবাই ব্যথিত। তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ব্যথা উপশম হবে না।”
লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে তেমন ভাল ফল করতে ব্যর্থ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। সেই প্রসঙ্গ তুলে শঙ্করাচার্য বলেছেন যে, “যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে হিন্দু হতে পারে না। মহারাষ্ট্রের মানুষ বিশ্বাসঘাতকতায় ব্যথিত, সেটা নির্বাচনের ফলাফল থেকেও স্পষ্ট হয়েছে।” তাঁর সংযোজন, “এটি জনগণের প্রতিও অসম্মান। একটি সরকারকে তার মেয়াদের মধ্যে ভেঙে দেওয়া এবং জনসাধারণের রায়কে অপমান করা ভুল।”
পুরীর মন্দিরে রত্নভান্ডার আগলেছিল সাপ! সত্যি কি তাই? কী বলল হাইকোর্ট?
উল্লেখযোগ্য যে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, ৪০টিরও বেশি শিবসেনা বিধায়ক সহ, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং ‘মহা বিকাশ আগাদি’ (এমভিএ) সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন। তৎকালীন শাসক জোটে, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষে একনাথ শিণ্ডে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন। শিবসেনার শিণ্ডে গোষ্ঠীও নির্বাচন কমিশন থেকে শিবসেনার আদি প্রতীক ‘ধনুক ও তীর’ও পেয়েছে।
অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, শঙ্করাচার্য বলেন, “আম্বানিজি আমার কাছে এসেছিলেন এবং প্রণাম করেছিলেন। এটি একটি নিয়ম যে আমাদের কাছে যারা আসবে তাকে আশীর্বাদ করতে হবে। তাই আমি তাকে আশীর্বাদ করেছি। নরেন্দ্র মোদী আমাদের শুভাকাঙ্খী, তবে তিনি যদি ভুল করেন, তাহলে আমরাও তাকে সুধরে দি।”