ম্যাচ শুরু হতে না হতেই গোল। এক মিনিটের মধ্যে গোল করলেন রহিম আলি। এরপর আরো পাঁচটি গোল দেখল কোচির স্টেডিয়াম। কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম চেন্নাইন এফসি (Kerala Blasters vs Chennaiyin FC) ম্যাচে হল ৬ গোল। দারুণ উপভোগ্য হল ইন্ডিয়ান সুপার লীগের (ISL) দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বি (South Indian Derby)।
বুধবার ম্যাচের প্রথম বাঁশি বাজার পর থেকে আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছিল দুই দল। যার ফলে গোল হল একের পর এক। বিরতির আগেই হল পাঁচ গোল। সেট পিস রহিম আলির গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল চেন্নাইন এফসি। তার মিনিট দশেক পর পেনাল্টি থেকে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসিকে সমতায় ফেরান দিমানতিকোস। ১১ মিনিটে স্কোরলাইন ১-১ হওয়ার পর ১৩ মিনিটে ফের পেনাল্টি।
এবার চেন্নাইন এফসির সামনে গোল করার সুযোগ। দিমানতিকোসের মতো জর্ডান মারে-ও মাটি ঘেঁষা শট মেরে করলেন গোল। ২৪ মিনিটে ফের মারের গোল। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় চেন্নাইন এফসি। মিনিট পনেরোর মধ্যে স্কোরলাইন ৩-২। দারুণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষের গোলের টপ কর্নারে বল পাঠিয়ে দিলেন কেরালা ব্লাস্টার্স এফসির তরুণ বিদেশি ফুটবলার কোয়ামে পেপরা।
𝗔 𝗽𝗲𝗿𝗳𝗼𝗿𝗺𝗮𝗻𝗰𝗲 𝘁𝗵𝗮𝘁 𝘀𝗵𝗼𝘄𝗲𝗱 𝘁𝗿𝘂𝗲 𝗰𝗵𝗮𝗿𝗮𝗰𝘁𝗲𝗿! 💪🙌
The men in 🟡 showed great resilience to level the game! #KBFCCFC #KBFC #KeralaBlasters pic.twitter.com/lFzkMZe2sf
— Kerala Blasters FC (@KeralaBlasters) November 29, 2023
বিরতির আগে পাঁচ গোল হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় সেই ঝাঁঝ। একাধিকবার বল গিয়ে পৌঁছল দুই দলের গোলরক্ষকের কাছে। ৫৮ মিনিটে খেলার ষষ্ঠ গোলটি করলেন দিমানতিকোস। এদিনের ম্যাচে এটাই বোধহয় সবথেকে দর্শনীয় গোল। ম্যাচের শেষের দিকে ব্লাস্টার্স-এর দাইসুকে সাকাই দারুণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। এক হাত দুরত্ব থেকে বল গোল রাখতে পারেননি তিনি। রাখতে পারলে ম্যাচের ফল হতে পারতো অন্যরকম। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন ৩-৩। ৮ ম্যাচের ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লীগ ক্রম তালিকার প্রথম স্থানে রইল কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি। সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে আট পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে চেন্নাইন এফসি।