Teesta Flood: উজানে তিস্তা বিপর্যয়, ভাটি অঞ্চল বাংলাদেশ বন্যা সতর্কতা

আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার উজান অঞ্চল অর্থাৎ ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বন্যা আশঙ্কা।উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ফেটে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। সমতলে হু হু করে…

Teesta Flood: উজানে তিস্তা বিপর্যয়, ভাটি অঞ্চল বাংলাদেশ বন্যা সতর্কতা

আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার উজান অঞ্চল অর্থাৎ ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বন্যা আশঙ্কা।উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ফেটে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। সমতলে হু হু করে ঢুকছে জল। এর ফলে ভয়াবহ বন্যার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে ভাটি অঞ্চল বাংলাদেশেও। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।

ভারতের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জলপাইগুড়ির গজলডোবা পয়েন্টে মধ্যরাত থেকে জল প্রায় ২৮৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার থেকে প্রায় ৮২ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। গজলডোবা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হতেই বাংলাদেশের দিকে তিস্তার জলস্তর বাড়ছে।

   

বাংলাদেশ পানি (জল) উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” তথ্য অনুযায়ী , তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টের জল আপাতত বিপদসীমার মধ্যে থাকলেও, যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং বিকাল নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপদসীমার ৫০ সে.মি. উপর পর্যন্ত উঠতে পারে।

তিস্তা অববাহিকার রংপুরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী অববাহিকা অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নদীর দুইধারের চর ও গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন মাঠে নেমেছে। অপরদিকে সকাল থেকে ওই অঞ্চলে চলছে বৃষ্টি। ফলে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বেগ পাচ্ছে প্রশাসন।

বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি ব্যারেজ খুলে রেখে নজরদারী চলছে। নদীপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং শুরু হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস এলাকা থেকে মানুষজনকে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।