Teesta Flood: জলপাইগুড়িতে ফিরল ১৯৬৮ সালের আতঙ্ক, সেনা জানাল দুপুরের পর ভয়াবহ পরিস্থিতি

চুয়ান্ন বছর আগে ১৯৬৮ সালে লক্ষ্মীপূজার দিন জলপাইগুড়ি শহর তছনছ হয়ে গেছিল তিস্তা ও করলা নদীর বন্যায়। সেই আতঙ্ক দশকের পর দশক তাড়া করে এলাকাবাসীকে।…

Jalpaiguri

চুয়ান্ন বছর আগে ১৯৬৮ সালে লক্ষ্মীপূজার দিন জলপাইগুড়ি শহর তছনছ হয়ে গেছিল তিস্তা ও করলা নদীর বন্যায়। সেই আতঙ্ক দশকের পর দশক তাড়া করে এলাকাবাসীকে। এবার সিকিমে যে হ্রদ ফাটা জলের তোড়ে তিস্তার বন্যার (teesta flood) যে ছবি আসছে তাতে জলপাইগুড়িতে তীব্র আতঙ্ক। এই আতঙ্ক আরও বাড়ল সেনাবাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সতর্কবার্তায়। সেনার ইস্টার্ন কমান্ড জানাচ্ছে, দুপুরের পর তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।

সিকিমের পরিস্থিতি ভয়াবহ। সিকিম থেকে সবকিছু ভাঙতে ভাঙতে তিস্তা নামছে।

বিস্তারিত পড়ুন লিংকে।Teesta Flood: হ্রদ ফেটে সিকিমে লাল সতর্কতা, তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে

তিস্তায় জলস্ফীতির জেরে চিন্তার ভাঁজ উত্তরবঙ্গের দুটি জেলা জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। বিপদের আশঙ্কায় প্রস্তুতি শুরু। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। জলপাইগুড়ির সমস্ত স্কুল গুলিকে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক শামা পারভিন।

sikkim

জানা যাচ্ছে, সিকিমের পাহাড় থেকে তিস্তার বিপুল পরিমাণ জল নামছে জলপাইগুড়িতে। দুপুর ২টো নাগাদ জলপাইগুড়ির দোমহনিতে তিস্তা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে পারে। ফলে জলপাইগুড়ি নিয়ে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ। কারণ তিস্তায় জল বাড়ার জন্য সমস্ত বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে জল নেমে আসছে জলপাইগুড়িতে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২.৩০টা থেকে নদীতে জল আরও বাড়বে।

কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে মাইক যোগে তিস্তার বাঁধ সংলগ্ন এলাকার মানুষজনকে সতর্ক করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই হলদিবাড়ির বিডিও, জয়েন্ট বিডিও, হলদিবাড়ি থানার আইসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষজনকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আবার,জলপাইগুড়ির গজোলডোবার জলাধারে জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমশ বাড়ানো হয়েছে। ফলে দুপুর দুটোর পর দোমহনি-মেখলিগঞ্জ ও বাংলাদেশের একাংশের অসংরক্ষিত কিছুস্থান ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেখলিগঞ্জ সহ ওই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমের লোনক হ্রদ ফেটে তিস্তায় হড়পা বান। কার্যত ভেসে গিয়েছে উত্তর সিকিমের একাংশ। ভেসে গিয়েছেন ২৩ জন জওয়ান। তাদের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আরও ২৫ ফুট জলস্তর বাড়বে। এখনই দোতলা বাড়ির ওপর দিয়ে বইছে জল। বর্তমান জলস্তর থেকে আরও ২৫ ফুট জল বাড়লে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সেনার ইস্টার্ন কমান্ড।

sikkim5

দক্ষিণবঙ্গেও টানা বৃষ্টি এবং জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার কারণে রাজ্যের অন্তত সাতটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়ার জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতির দিকে ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন।