Flood: দামোদর অজয় কেলেঘাই ফুঁসছে, দক্ষিণবঙ্গে জলবন্দি বহু গ্রাম

ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। জলমগ্ন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। নিঃসন্দেহে পুজোর মুখে চরম দুর্ভোগ রাজ্যবাসীর। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে,…

ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। জলমগ্ন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। নিঃসন্দেহে পুজোর মুখে চরম দুর্ভোগ রাজ্যবাসীর। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, অভিমুখ বদলে ঝাড়খণ্ড থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে নিম্নচাপ। এর ফলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে।

অত্যাধিক বৃষ্টির কারণে বুধবারেও ডিডিস আরও এক ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। ডিভিস সহ একাধিক জলধারা থেকে জল ছাড়ার কারণে জলমগ্ন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূমের একাধিক গ্রাম। বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত ঝাড়গ্রাম থেকে হাওড়ার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। প্রতিটি জেলাতেই নদীর জলস্তর বেড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক আরও ছড়িয়েছে।

কেলেঘাইয়ের বর্তমান জলের উচ্চতা ৬.২৯ মিটার। নদী উপচে হু হু করে জল ঢুকছে গ্রামে প্লাবিত পটাশপুরের বহু গ্রাম। ভগবানপুরের মানুষ ও আতঙ্কিত। রাজ্য সড়ক জলমগ্ন। খোলা হয়েছে জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম। বাঘুই নদীর জলে প্লাবিত পটাশপুরের বহু গ্রাম। রবিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে ফলস্বরূপ বাগুই ও কেলেঘাই নদী উপচে জল ডুকছে পটাশপুর ১ নং ব্লকের চকগোপাল প্রদিমা সহ বহু গ্রামে।

নদীর জলে প্লাবিত বেশ কয়েকটি গ্রাম, ঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিচ্ছেন এলাকাবাসীরা। বেশ কিছু মাটির বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। রাস্তাঘাট চলে গেছে জলের তলায়। ডুবে গেছে বহু পুকুর। ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে অন্যের বাড়িতে বা উঁচু জায়গায়। প্রশাসনের তরফে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবির।

আগামী কয়েক ঘণ্টায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন পটাশপুরের মানুষজন। আবার রাত তিনটের পর থেকে কেলেঘাই নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। এখনও জলস্তর দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টার লাগাতার বর্ষণে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বুধবার সকাল আটটার সময় আমগাছিয়াতে জলের উচ্চতা ৬.২৯ মিটার ছিল। যেখানে বিপদসীমা ৫.৭৯ মিটার। আর চরম বিপদসীমা ৬.৪০ মিটার। বাজকুল এগরা রাজ্য সড়ক জলমগ্ন হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত।

উল্লেখ্য, বন্যার আশঙ্কার মাঝে মঙ্গলবারই ১,২৫৯ জনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ার ৯৭০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নবান্ন।