Rohingya Durga Puja: ‘কবে ফিরব দেশে?’ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুর্গা মণ্ডপে আছে মায়ানমারে ফেরার টান

দেশে ফিরতে চাই। কবে ফিরব দেশে? চুমকি লাইটের ঝিকিমিকি আলোয় দুর্গাপূজার প্যান্ডেল অতি সাধারণ।তবে তেমনই অসাধারণ। কারণ, এই প্যান্ডেলটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। যারা নিজ দেশ মায়ানমার…

দেশে ফিরতে চাই। কবে ফিরব দেশে? চুমকি লাইটের ঝিকিমিকি আলোয় দুর্গাপূজার প্যান্ডেল অতি সাধারণ।তবে তেমনই অসাধারণ। কারণ, এই প্যান্ডেলটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। যারা নিজ দেশ মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। বর্মী সেনার গণহত্যার ভয়াবহ মুহূর্ত এদের তাড়া করছে অবিরাম। পূজা প্যান্ডেলের (Rohingya Durga Puja) চারিদিকে ছোট ছোট ঘুপচি ঘর। অন্ধকার গলি। আলো আর অন্ধকারে মাখামাখি বাংলাদেশের এই রোহিঙ্গা শিবিরে চলছে দুর্গাপূজা।

চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারের কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্গাপূজা ঘিরে নিরাপত্তা আছে। এরা সবাই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।বর্মী সেনার ভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে এরা পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। কক্সবাজারের শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন একটি বাগানে আশ্রয় নিয়েছেন ১২০টি পরিবারের প্রায় ৬০০ জন হিন্দু রোহিঙ্গা। সেখানে দুর্গাপূজা চলছে।

হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির নেতা তরুণ রুদ্র জানান, গত ছয় বছর ধরে আমরা শান্তিপুর্ণ ভাবে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন করে যাচ্ছি। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসিটিভি। পূজা উপলক্ষে পুলিশ বাহিনী টহল দিচ্ছে। এই শরণার্থীরা নিজ দেশ মায়ানমারে ফিরতে চান। তারা চান নিজের দেশ মায়ানমারে গিয়ে দুর্গাপূজা করতে।

রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে বিশ্বে সব থেকে বড় শরণার্থী শিবির চলছে বাংলাদেশে। কমপক্ষে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আছে বাংলাদেশে। তবে মায়ানমারের বর্তমান সামরিক সরকার এই শরণার্থীদের ফেরাতে আগ্রহী নয়। ২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সশস্ত্র সংগঠন ও বর্মী সেনার সংঘর্ষ শুরু হয়। সেনা অভিযানে গণহত্যা ও গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। এদের মধ্যেও বাড়তে থাকা অপরাধ প্রবণতা, জন্মহার সবমিলিয়ে বড়সড় জায়গা সংকট ও জনসংখ্যার চাপে পড়েছে বাংলাদেশ সরকার।