‘দাদুর অনুপ্রেরণায় এগোবে আমেরিকা’, দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের গর্বিত নাতনি কাইয়ের

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাতনি কাই ট্রাম্প বুধবার রাতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে তাঁর দাদু সম্পর্কে ব্যক্তিগত গল্প শেয়ার করছেন। গর্বিত হাসি দিয়ে, রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি…

what donald trumps 17-Year Old granddaughter Kai Trump said about him, 'দাদুর অনুপ্রেরণায় এগোবে আমেরিকা', দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের গর্বিত নাতনি কাইয়ের

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাতনি কাই ট্রাম্প বুধবার রাতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে তাঁর দাদু সম্পর্কে ব্যক্তিগত গল্প শেয়ার করছেন। গর্বিত হাসি দিয়ে, রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ১৭ বছর বয়সী কাই নিজের কথা তুলে ধরেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আর পাঁচজনের মতই একজন ‘স্বাভাবিক দাদু’ হিসাবে বর্ণনা করেন কাই। জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় দাদু ট্রাম্প নাতি-নাতনিদের মিছরি এবং সোডা কিনে দিয়ে আস্কারা দিতেন।

কাই, ট্রাম্পের ১০ জন নাতি-নাতনির মধ্যে বড়। তাঁর দাবি, দেশবাসীর কাছে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরতে আগ্রহী যা তাঁর দাদু সম্পর্কে বেশিরভাগই জানেন না। যেমন, ডোনাল্ড ট্রাম্প জানতে চাইতেন তাঁর নাতি-নাতনিরা স্কুলে কেমন পড়াশুনো করছেন।

   

একটি হৃদয়গ্রাহী মুহূর্ত শেয়ার করেছেন কাই। পেশায় আইনজীবী কাই জানিয়েছেন যে, তিনি যখন আইন পেশায় সফল্য পেয়েছেন তখন দাদু ট্রাম্প নিজের বন্ধুদের দেখানোর জন্য নাতনির ছবি ছাপিয়েছিলেন, তুলে ধরেছিলেন যে তিনি কতটা গর্বিত।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ভেনেসের কন্যা ১৭ বছর বয়সী কাই জানিয়েছেন যে, দাদু ট্রাম্প প্রায়শই স্কুল চলাকালীন তাঁকে ফোন করে গল্ফ খেলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। সেই সময়ই নিজের গল্প খেলার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতেন। কাই রসিকতা বলেছেন যে, ‘দাদুকে মনে করিয়ে দিতে হত যে আমি স্কুলে আছি তাই বেশি কথা বলা য়াবে না।’

বহু সময় দাদু-নাতনি একসঙ্গে গল্ফ খেলেছেন। খেলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন উপায়ে খুনসুটি করে কাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতেন। যা ধরেফলতে পারতেন নাতনি। তখন ডোনাল্ডকে কাই মনে করিয়ে দিতেন যে, ‘আমিও একজন ট্রাম্প।’

পেশায় একজন আইনজীবী কাই ট্রাম্প। আদালতের বহু মামলায় ব্যস্ত থাকেন তিনি। কাই জানিয়েছেন যে, তাঁ দাদু সর্বদা নাতনির মঙ্গল চিন্তা করেন। নাতি-নাতনিদের ফোন করে সুবিধা অসুবিদার কথা জানতে চান। সফল হওয়ার জন্য উত্সাহিত করেন। তবে, অবশ্যই নাতি-নাতনিদের জন্য দাদু ট্রাম্প সাফল্যের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন বেশ উঁচুতে, যা ছোঁয়ার জন্য আত্মবিশ্বাসী এবং উদগ্রীব কাই।

পরে, কাই শেয়ার করেছেন যে, পেনসিলভেনিয়ার একটি সমাবেশে তাঁর দাদুর উপর সাম্প্রতিক হত্যা প্রচেষ্টার পরে তিনি ‘মর্মাহত’ হয়েছিলেন। বলেছেন, ‘অনেকেই আমার দাদুকে শেষ করতে চেয়েছেন, তবুও এখনও তিনি দাঁড়িয়ে আছেন’। কনভেশনে দাদুর সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত কাই বলেন, ‘দাদু, তুমি একজন অনুপ্রেরণা, আমি তোমাকে ভালবাসি।’

সংবাদ মাধ্যমে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত নানা কীর্তি নিয়ে কাটাছেঁড়া চলে। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন কাই ট্রাম্প। বলেছেন যে, ‘দাদুকে মিডিয়ার বেশিরভাগই অন্য আর পাঁচ জনের মতো মনে করে। কিন্তু আমি তাকে জানি। জানি কোন উদ্দেশে তিনি সব কাজ করেন।’ নাতনি কাই ট্রাম্পের সংযোজন, ‘আমার দাদু খুব যত্নশীল এবং ভালোবাসার মানুষ। তিনি সত্যিই এই দেশের ভালো চান এবং আমেরিকাকে আবার মহান করার জন্য প্রতিটা দিন লড়াই করবেন।’

কাই ট্রাম্প গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ইভেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কথা বলছেন। ২০১৫ সালে ডোনাল্ট ট্রাম্পের প্রার্থিপদ ঘোষণা, দাদুর গল্ফ কোর্সের উদ্বোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে নাতনি কাইকে দেখা গিয়েছে। কাইকে তাঁর দাদুর সঙ্গে গল্ফ টুর্নামেন্ট এবং ছুটির দিনেও দেখা গিয়েছে।