Israel-Hamas War: কাতারি আমিরের ঝোলায় আছে যুদ্ধ বন্ধের চাবি, সফরে আসছেন ব্লিঙ্কেন

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: এই প্রতিবেদন যখন লিখছি, তখন কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে শুরু হয়ে গেছে ব্লিঙ্কেন বরণ প্রস্তুতি। শুক্রবার জরুরি সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব…

israel

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: এই প্রতিবেদন যখন লিখছি, তখন কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে শুরু হয়ে গেছে ব্লিঙ্কেন বরণ প্রস্তুতি। শুক্রবার জরুরি সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। তিনি দোহা পৌঁছেই ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠি হামাসের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ জরুরি বৈঠক করবেন। বিশেষ সূত্রে জানতে পারছি, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি একাধিক আরব দেশের সাথে আলোচনা শুরু করেছেন। এই দেশগুলি একযোগে ইজরায়েল বিরোধী অবস্খানে অনড়। পরিস্থিতি নরম করতে নেমেছেন কাতারের আমির।

ইজরায়েল ও হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষিতে কাতার নেমেছে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায়। তারা ইজরায়েলের জেলে ৩৬ জন ফিলিস্তিনি নারীর বিনিময়ে গাজায় বন্দি ইজরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্তির জন্য আলোচনার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

   

কাতার সরকার ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে পরিস্থিতি সামলানোর। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন সেই কারনেই কাতার আসছেন। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইজরায়েল পক্ষ নিয়েছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, হামাস জঙ্গিদের খতম করতে ইজরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন করা হবে। এর পরেই আরব দুনিয়ার দেশগুলি সরাসরি হামাস গোষ্ঠির পক্ষে বার্তা দিতে শুরু করে। এমনকি সুন্নি মতাবলম্বী আরবদের বিরোধী শিয়া মতাবলম্বী ইরানও সরাসরি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠি হামাসের পক্ষ নেয়।

এর আগের প্রতিবেদনে আমি লিখেছিলাম, স্পর্শকাতর আরব দুনিয়ার কোনও এক কোণে একটি স্ফুলিঙ্গ সমগ্র বিশ্বকে জ্বালিয়ে দিতে পারে। কে না জানে আরব বিশ্বে কোনও এক কোনে কিছু একটা হলে তার ফল হয় মারাত্মক। আশঙ্কা মিলিয়ে বৃহস্পতিবার যেভাবে ইজরায়েল সরাসরি সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস ও আলেপ্পো শহরের দুটি বিমানবন্দরে হামলা চালাল তাতে পুরো বিশ্ব হতচকিত। ইজরায়েলের এমন হামলার কারণ, সিরিয়া সরাসরি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠি হামাসের সমর্থক। তাদের বিমান ও সমুদ্র বন্দর দিয়ে যাতে কোনওভাবেই হামাসের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র না যেতে পারে তার জন্য শুরু হয়েছে হামলা।

সিরিয়ার পর নিশানায় কে? এমনই প্রশ্ন আরব দুনিয়ার সর্বত্র। এর ফলে যে সংঘর্ষ ভূমধ্যসাগর তীরে গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠির মধ্যে চলছে তার ঢেউ ছড়িয়েছে পারস্য উপসাগর, কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী এলাকায়। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্য থেকে সমগ্র পশ্চিম এশিয়ায়।