তালিবানদের নাকের ডগায় আফগানিস্তানে জঙ্গি শিবির বানাচ্ছে জইশ-লস্কর

বিশ্বের আতঙ্ক বাড়িয়ে তালিবানদের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে পাক মদতপুষ্ঠ সংগঠন জইশ ই মহম্মদ ও লস্কর ই তৈবা! এমনটাই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে রাষ্ট্রসংঘ। এই…

বিশ্বের আতঙ্ক বাড়িয়ে তালিবানদের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে পাক মদতপুষ্ঠ সংগঠন জইশ ই মহম্মদ ও লস্কর ই তৈবা! এমনটাই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে রাষ্ট্রসংঘ।

এই রিপোর্ট অনুযায়ী, জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে জঙ্গি শিবির চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কিছু জঙ্গি শিবির সরাসরি তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে।

   

অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশনস মনিটরিং টিমের ১৩তম রিপোর্টে একটি সদস্য রাষ্ট্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদ আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে আটটি প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করছে। এর মধ্যে তিনটি সরাসরি তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মাসুদ আজহারের নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের আদর্শের সঙ্গে তালিবানদের মিল রয়েছে। আফগানিস্তানে জইশের নতুন মাথা কারি রমজান তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নজরদারি দলের আগের রিপোর্টেও লস্কর-ই-তৈবা ও তালিবানের মধ্যে যোগসাজশের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে এলইটি-র নেতৃত্বে রয়েছেন মাওলাউয়ি ইউসুফ। ২০২১ সালের অক্টোবরে তালেবানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূর জলিলের সঙ্গেও দেখা করেন লস্কর নেতা মাভলাভি আসাদুল্লাহ। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে তালিবান দল নানগারহারে লস্করের ক্যাম্পও পরিদর্শন করে। কুনার ও নানগারহারে তিনটি শিবির চালাচ্ছে লস্কর।

এর আগে আসলাম ফারুকী ও আজাজ আহমেদ এলইটি’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু তার পরেই দু’জনেই আইএসআইএল-কে গোষ্ঠীতে যোগ দেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্য একটি সদস্য দেশ জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে জইশ ও এলইটি-র উপস্থিতির কোনও প্রমাণ নেই। কারণ সেখানে কার্যকর নিরাপত্তা অভিযান চালানো হচ্ছে।

আফগানিস্তানে বিদেশি জঙ্গিদের কারণ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। এই যোদ্ধাদের সংখ্যা কয়েক হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইটিম, আইএমইউ, জৈশ, জামাত আনসারুল্লাহ এবং লস্করও আফগানিস্তানে সক্রিয় রয়েছে। শত শত জঙ্গি আফগানিস্তানে অবস্থান করছে।

শুধু তাই নয়, তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুফতি নুর ওয়ালি মেহসুদের নেতৃত্বাধীন টিটিপি সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বলে এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তালিবানদের শাসনকালের পর থেকে তারা বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে এবং পাকিস্তানেও কাজ করছে।

এত চাপ সত্ত্বেও টিটিপি তাদের যোদ্ধাদের তালেবানইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করেনি। তিনি একটি স্ট্যান্ড-অ্যালোন শক্তি হিসাবে কাজ করছেন। বলা হয়, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত এলাকায় এই গোষ্ঠীর প্রায় ৩-৪,০ সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে।