Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর রাজ্য দখলের দাবি দিলীপ ঘোষও বিশ্বাস করে না, উড়ে এলো কুণালের বাণ

বিধানসভা নির্বাচনে সরকার বদলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। মুরলীধর সেন লেনের সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। আটকে গেছে বিজেপির রথ। আপাতত বিজেপি বিরোধী দল হলে়ও পুরভোটের নিরিখে সিপিআইএমের…

বিধানসভা নির্বাচনে সরকার বদলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। মুরলীধর সেন লেনের সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। আটকে গেছে বিজেপির রথ। আপাতত বিজেপি বিরোধী দল হলে়ও পুরভোটের নিরিখে সিপিআইএমের নিচে। অথচ গত বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্ট একটিও আসন পাননি। এই রাজনৈতিক ডামাডোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, ছাব্বিশ (২০২৬) অবধি অপেক্ষা করতে হবে না চব্বিশেই (২০২৪) সরকার বদল হয়ে যাবে৷ পিসি ভাইপোর কোম্পানিকে তাড়াবই৷

দলবদল ও ভাঙনে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি। এই অবস্থায় দলত্যাগ করে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাওয়া ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের এলাকায় সভা করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের মেয়াদপূর্তির আগেই পতন হবে। নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির? উঠছে এমন প্রশ্ন।

শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে পিছপা হয়নি তৃণমূল। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দুর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওর কথায় দিলীপ ঘোষ বিশ্বাস করবে না৷ বাংলার মানুষ তো অনেক দূরের কথা৷ রাষ্ট্রপতি শাসনের জুজু দেখিয়ে আগেও সরকার ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়েছিল বিজেপি৷ কিন্তু বারবার সেই চেষ্টা বিফলে গেছে।

রাজ্য সরকার পতনের দাবি শুভেন্দুর নতুন কিছু নয়। একাধিকবার এই বক্তব্য করেছেন শুভেন্দু৷ পুরভোটে শূন্য হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে বাজার গরম করতেই এমন বক্তব্য মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি আরএসএস নিজেদের সমীক্ষা করে জানিয়েছে বাংলা থেকে লোকসভায় মাত্র দু’টি আসন পেতে চলেছে বিজেপি৷ একটি বনগাঁ, অপরটি দার্জিলিং৷ এর প্রধান কারণ হিসাবে নিচুতলার কর্মীদের বসে যাওয়া এবং একাধিক নেতাদের দলবদলকে দায়ি করেছে বিজেপির গর্ভগৃহ সংঘ পরিবার।