পাকিস্তানের সেনা ক্যাম্পে ভয়াবহ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা, নিহত ১২

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের সেনা ক্যাম্পে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে৷ এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে…

short-samachar

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের সেনা ক্যাম্পে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে৷ এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে দুই আত্মঘাতী জঙ্গি সেনা ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। বিস্ফোরণের পর, সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়।

   

ঘটনা ও হামলার ধরন
পুলিশ জানায়, দুটি গাড়ি দ্রুত গতিতে সেনা ক্যাম্পের গেটে ধাক্কা মারে। এতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, যার জেরে ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ কালো ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে গোটা এলাকা। হামলার পর, জঙ্গিরা ক্যাম্পের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। এই হামলায় যে ১২ জন নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪ জন শিশু, যাঁরা ক্যাম্পের কাছাকাছি বসবাস করত।

তেহরিক-ই-তালিবানের সহযোগী সংগঠনের হামলা
এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ‘জইস উল ফুরসান’৷ এই জঙ্গি গোষ্ঠী পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালিবানের সঙ্গে যুক্ত। এই সংগঠন আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় সক্রিয়, এবং বন্নু জেলা জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য পরিচিত।

সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণ
হামলার পর, পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালায়। সেনাবাহিনীর জবাবে ৪ জঙ্গি নিহত হয়েছে। বর্তমানে গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান চলছে।

ভিডিও ফুটেজ ও পরিস্থিতি
ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে বিস্ফোরণের পর বিশাল ধোঁয়া এবং গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তবে, হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী এখনও কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেয়নি।

অতীতের অস্থিরতা
বন্নু জেলা আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে হওয়ায়, এখানে জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এমন পরিস্থিতি দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ
হামলার পর, সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে৷ এই হামলার নেপথ্যে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলোর খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে৷