ওয়াশিংটন: ভারতের জন্য সাময়িক স্বস্তির খবর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আপাতত রাশিয়া এবং তার বাণিজ্যিক অংশীদারদের বিরুদ্ধে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছেন না। তবে একইসঙ্গে সতর্ক করে দিয়েছেন, আগামী “দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে” পরিস্থিতি বদলালে তিনি এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন।
ট্রাম্পের কূটনৈতিক সুর নরম
আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের কূটনৈতিক ভাষা স্পষ্টতই নরম হয়েছে। তিনি বলেন, “আলাস্কা শীর্ষ বৈঠক দারুণভাবে এগিয়েছে, আমি এটাকে ১০-এর মধ্যে ১০ দেব।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, “আজ যা ঘটেছে, তার পর আমি মনে করি এখনই সেকেন্ডারি স্যাংশনের কথা ভাবতে হচ্ছে না। হয়তো দুই-তিন সপ্তাহ পর সেটা ভেবে দেখতে হতে পারে।”
তবে মাত্র কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে দিলেন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত—রুশ তেল আমদানির কারণ দেখিয়ে। প্রথমে ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক, তার পর আরও ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসিয়ে দিলেন ট্রাম্প প্রশাসন। চীন ও ভারতের মতো দেশগুলিকে সরাসরি সতর্কও করেছিলেন তিনি, জানিয়ে দিয়েছিলেন রুশ তেল কিনতে থাকলে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধে সমাপ্তি নিয়ে পশ্চিমা চাপ Trump softens stance
কিন্তু আলাস্কা বৈঠকের পর হঠাৎ সুর পরিবর্তন করেছেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্টই বলেছেন, এখনই যদি নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয় তবে তা রাশিয়ার জন্য “ধ্বংসাত্মক” হবে, তাই অন্তত আপাতত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধে সমাপ্তি নিয়ে পশ্চিমা চাপের মধ্যে রয়েছেন পুতিন। চার বছর ধরে চলা যুদ্ধ অবসান না হলে “ভীষণ গুরুতর পরিণতি”র হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ভারত ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করেছে—মার্কিন চাপ সত্ত্বেও রুশ তেলের আমদানি বন্ধ করার কোনো প্রশ্নই নেই।
একদিকে কঠোর শুল্কনীতি, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার হুমকির মাঝেই ট্রাম্পের এই আপাত নমনীয়তা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
World: In a Fox News interview, President Trump announced he is temporarily holding off on secondary sanctions against Russia and its partners, bringing relief to India. The decision follows a “10/10” summit with Russian President Vladimir Putin in Alaska, though Trump warned he could reconsider within “two or three weeks.”