‘মোদী অসাধারণ, বন্ধু’: ট্রাম্পের ইঙ্গিত, হতে পারে ভারত সফর

Trump praises Modi India visit

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ফের উষ্ণতার বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় তিনি মুখর হন। ট্রাম্প বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি আমার বন্ধু, আমরা নিয়মিত কথা বলি।”

Advertisements

ভারত সফরে আসছেন ট্রাম্প?

ওজন নিয়ন্ত্রণের ওষুধের দাম কমানোর নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প আরও যোগ করেন, “মোদী রাশিয়া থেকে কেনাকাটা অনেকটাই বন্ধ করেছেন। উনি চান আমি ভারতে যাই। আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি, আমি যাবও… মোদী একজন অসাধারণ মানুষ।” ভারত সফর প্রসঙ্গে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “হতে পারে, হ্যাঁ।”

   

এই মন্তব্য এমন এক সময় এল, যখন ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে বাণিজ্যিক আলোচনা নতুন গতি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রুশ তেল আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে ভারতের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ইতিবাচক Trump praises Modi India visit

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই সপ্তাহেই জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক। দীপাবলির সময় মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। উনি স্পষ্ট বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করা তাঁর অগ্রাধিকারের বিষয়।”

Advertisements

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ট্রাম্প ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করে চলেছেন। বিশেষ করে রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমানোর পদক্ষেপকে তিনি “দূরদর্শী সিদ্ধান্ত” বলে আখ্যা দিয়েছেন। এশিয়া সফরের সময়ও তিনি বলেন, “মোদী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি ক্রমে কমাবে বা বন্ধ করবে।”

জ্বালানি নীতি

যদিও নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের জ্বালানি নীতি সম্পূর্ণভাবে জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেন, “ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাস আমদানিকারক দেশ। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতার মধ্যেও ভারতীয় ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের অগ্রাধিকার। সেই লক্ষ্যেই আমদানি নীতি পরিচালিত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা দীর্ঘদিনের। গত এক দশকে সেই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। বর্তমান প্রশাসনও এ ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় শুরু করতে আগ্রহী।”