লঙ্কা কি ফের লাল হবে? দেশটির (Sri lanka) প্রথম কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট হয়ে নজির গড়া অনুরা কুমারা দিসানায়েকে (Anura Kumara Dissanayake) আরও একটি ভোট যুদ্ধে নেমে পড়লেন। বিবিসির খবর, সংসদ ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে। দ্বীপদেশে এবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের শিঙা বাজল।
সাধারণ নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারি গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১৪ নভেম্বর শ্রীলংকায় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় এক বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজেকে একজন সংস্কারপন্থী হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন দিশানায়েকে।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসার ৪৫ দিনের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেবেন। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ নির্বাচনে নিজ নীতির পক্ষে নতুন সমর্থন আদায় করতে চান তিনি। শ্রীলঙ্কার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে বলেছিলেন, জনগণের চাহিদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, এমন সংসদ চালিয়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই।বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিসানায়েকে ২২৫ সদস্যের সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছেন।
এখানে তার বামপন্থী ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের কেবল তিনটি আসন ছিল। একইসঙ্গে দেশটির আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বেলআউট কর্মসূচির পুনর্বিবেচনা করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব একটি সাধারণ নির্বাচনের ডাকও দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজেকে একজন সংস্কারপন্থী হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন দিসানায়েকে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লাল ঝড় দেখা গেছে। তবে দেশটির উপকূল অংশে তামিল সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় বাম জোট এনপিপির দিসানায়েকের দল জেভিপি ধাক্কা খেয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমিউনিস্ট দল জেভিপি যেমন তামিল ভোটে দাগ কাটতে পারেনি সেই ধারা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনেও থাকার সম্ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে। গত সাধারণ নির্বাচনে ২২৫টি আসনের মধ্যে জেভিপি দলের তিনজন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের সশস্ত্র সংগঠন এলটিটিই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রক্তাক্ত সংঘর্ষের অতীত রয়েছে জেভিপি দলের। কখনো সরকারের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ তো কখনও সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে এলটিটিই বিরোধী সংঘর্ষে জড়িত জেভিপি। পরে দলটি সশস্ত্র পথ থেকে সরে এসেছে।