বিশ্বজুড়ে যখন করোনায় মাসের পর মাস মৃত্যুর মিছিল চলছিল তখন ভুটান (Bhutan) ছিল করোনায় মৃত্যুহীন। পরে কিছু মৃত্যু হলেও এই দেশটির করোনা প্রতিরোধী বিজ্ঞানসম্মত জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি চিকিতসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে লেখা হয়ে গেছে। শিক্ষার হারে বহু নিচে থাকা ভুটানের বিজ্ঞানসম্মত করোনা যুদ্ধে চমকে গেছিল দুনি়য়া। এই কাজটির অন্যতম নেতা ডা: লোটে শেরিংকে (Lotay Tshering) ভোটের যুদ্ধে একেবারে নিচের নামালেন আম ভুটানি। দেশটির জাতীয় নির্বাচনের প্রাথমিক রাউন্ডেই আটকে গেল শেরিংয়ের দল ডিএনটি। পরের চূড়ান্ত পর্বে আর তারা থাকছে না।
চিন ও ভারতের মাঝে থাকা ভুটানের ক্ষমতায় কে আসছে এতে দুটি দেশই তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের পড়শি দেশটিতে রাজা নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক সরকার চলে।
ভুটানের নির্বাচন কমিশন নিয়মানুসারে সরকার গঠনের জন্য দুটি পর্বে ভোট হয়। প্রা়থমিক পর্বে সর্বাধিক ভোট পাওয়া দুটি দল চূড়ান্ত পর্বে লড়াই করে। সেই ভোটে যারা বৃহত্তম তারাই সরকার গঠন করে। সেই নিয়মে ভুটানে ক্ষমতাসীন ডিএনটি দলটি ছিটকে গেল। থিম্পু থেকে দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা বিবিএস জানাচ্ছে, পরাজয় মেনে নিয়ে বৃহত্তম দুই দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডা: লোটে শেরিং। চূড়ান্ত পর্বের ভোট হবে ৯ জানুয়ারি। ততদিন পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
Bhutan Today ও Kuensel সংবাদপত্র জানাচ্ছে, প্রাথমিক পর্বের ভোটে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবের দল পিডিপি সর্বাধিক ভোট পেয়েছে।ষচতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে বিজয়ী হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, শেরিং টোবগের নেতৃত্বে পিডিপি মোট প্রদত্ত ভোটের 42 শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছে। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছে ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি (বিটিপি)। পরবর্তী চূড়ান্ত পর্বে তারা থাকল। BTP সভাপতি পেমা চেওয়াং অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন এবং ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।