মাঝ আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানে আগুন! ১৭৮ জন যাত্রীর কী পরিণতি?

ডেনভার: কলোরাডো থেকে ডালাস যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান৷ হঠাৎই মাঝ আকাশে বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়৷ দ্রুত জরুরি অবতরণ করে…

মাঝ আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানে আগুন! ১৭৮ জন যাত্রীর কী পরিণতি?

ডেনভার: কলোরাডো থেকে ডালাস যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান৷ হঠাৎই মাঝ আকাশে বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়৷ দ্রুত জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। অভিশপ্ত ওই বিমানটিতে ১৭৮ জন যাত্রী ছিলেন। মাঝ আকাশে আচমকাই বিমানের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই তাতে আগুন ধরে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই তড়িঘড়ি বিমানের পাইলট ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং জরুরি অবতরণের জন্য অনুমতি চান।

পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতির ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷ বিমানটি অবতরণের পর দ্রুত দমকল ও উদ্ধারকারী দল যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, সকল যাত্রী নিরাপদে রয়েছেন৷ কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিমানটি কলোরাডো থেকে নির্ধারিত সময়েই রওনা করেছিল। তবে মাঝ আকাশে ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দেয় এবং ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। পাইলটের দক্ষ সিদ্ধান্ত এবং বিমানবন্দরের চটজলদি ব্যবস্থা বিপদ মোকাবিলায় সফল হয়। আগেই দমকল এবং উদ্ধারকারী দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, যার ফলে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়।

Advertisements

পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল, তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্তের কারণে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে৷ গত জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটন বিমানবন্দর এলাকায় সেনা হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তবে ডেনভার বিমানবন্দরে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে এই ঘটনা কোনো বড় ক্ষতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।