কাঠমান্ডু: চারদিন ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর চরম অরাজকতা, বিশৃঙ্খলতার পর শুক্রবার দেশের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী (Interim PM) পেয়েছে নেপাল(Nepal)। দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের পতন ঘটিয়ে স্বচ্ছ, স্পষ্টবাদী সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকিকেই (Sushila Karki) দেশের অন্তর্বর্তী শাসক হিসেবে বেছেছে প্রতিবাদী জেন জি (Gen Z)। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরের দিনই কি বললেন নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার-প্রধান?
রবিবার সুশীলা কারকি বলেন, “আমি বা আমার বর্তমান দল, ক্ষমতা-লোভী নই। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই নতুন সংসদ গঠন করে তাঁদের হাতেই দেশের শাসনভার তুলে দেব।” সেইসঙ্গে জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর বন্তব্য, “আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমরা সফল হব না”। যাদের রক্তের বিনিময়ে নতুন সূর্যোদয় দেখল নেপাল, সেইসব জেন-জি (Gen Z) আন্দোলনকারীদের “শহীদ”-এর মর্যাদা দিয়ে প্রত্যেক পরিবারকে ১ মিলিয়ন নেপালি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোথাও ঘোষণা করেন কারকি।
সেইসঙ্গে সংঘর্ষে যারা আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভারের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করেছেন তিনি। নেপালি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার শুরু হওয়া চারদিন ব্যপি সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৭২ জন। যাদের মধ্যে ৫৯ জন আন্দোলনকারী, ১০ জন কয়েদি এবং তিনজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। আন্দোলনের তীব্রতা এবং নেপালের নতুন ইতিহাস নিয়ে কারকি বলেন, ‘আমি মাত্র ২৭ ঘন্টার আন্দোলনে এরকম পরিবর্তন দেখিনি। আমাদের সম্পূর্ণ সংকল্পবদ্ধ হয়ে কাজ কড়া উচিৎ”।
পাশাপাশি, দেশের সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি, ভাঙচুর এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন সদ্যনিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী। “প্রাথমিকভাবে দেখে যা মনে হচ্ছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, চুরি, লুটপাটের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তাঁদের ছাড়া হবে না।” সেইসঙ্গে যাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান কারকি। ২০২৬ এর ৫ মার্চ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে নেপাএর অন্তর্বর্তী সরকার।