Myanmar Civil War: শতাধিক বর্মী সেনা বন্দি, খুনের পথ খুঁজছে গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীরা

সেনা অভ্যুত্থানের আড়াই বছর পর গৃহযুদ্ধে সর্বাধিক ক্ষতির মুখে সামরিক সরকার। মায়ানমারের সেনা শাসনের বিরোধী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণে (Myanmar Civil War) বিরাট বিপর্যয়ের মুখে সেনা।…

myanmar-army

সেনা অভ্যুত্থানের আড়াই বছর পর গৃহযুদ্ধে সর্বাধিক ক্ষতির মুখে সামরিক সরকার। মায়ানমারের সেনা শাসনের বিরোধী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণে (Myanmar Civil War) বিরাট বিপর্যয়ের মুখে সেনা। শতাধিক বর্মী সেনা বন্দি। তাদের হয় ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করা হবে। অথবা গলা কেটে মারা হবে। এমনই মনে করা হচ্ছে।

দেশটির নির্বাচিত সরকারের নেত্রী সু কি গৃহবন্দি। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরই গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপর গত আড়াই বছর ধরে সেনা সরকার ও বর্মী জনগণের তীব্র সংঘাত চলছে। গণহত্যায় অভিযুক্ত বর্মী সেনা। তবে সু কি-এর বিরোধী একাধিক বর্মী সশস্ত্র সংগঠনও সেনা শাসনের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে নেমেছে।

এই তিনটি বিদ্রোহী সংগঠন হল মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি। তাদের যৌথ অভিযানের নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। বর্মী সেনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষে  বিদ্রোহীরা বড় জয় পেয়েছে। এমনই জানাচ্ছে বিবিসি। রিপোর্টে বলা হয়, চিন সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারের চিনশিওয়েহাও শহরের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এখানকার সীমান্ত দিয়ে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য চালায় মায়ানমার সরকার।  দেশটির সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র ঝাও মিন টুন জানান, ওই শহরটির এখন বিদ্রোহীদের দখলে।সরকারি কর্মী, পুলিশ ও সেনা সদস্যদের সরিয়ে আনা হয়েছে। 

চিনের সংবাদ মাধ্যমের খবর, সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারের চিনশিওয়েহাও শহরটির পাশাপাশি বর্মী সেনার ঘাঁটি বিদ্রোহের কব্জায়। শতাধিক সেনা বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি। তাদের মেরে ফেলা হতে পারে। তবে বন্দি বিনিময় পথও খোলা রাখছে সামরিক সরকার।

২০২১ সালের ৫মে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে  মায়ানমারে দখল নেয় সেদেশের সেনা। তারপর থেকেই গণতন্ত্রপন্থী ও সেনা বিরোধী বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে।সেনাবাহিনীর জেনারেল মিন্ট সোয়ে বর্তমান সামরিক সরকারের প্রধান। নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি বন্দি। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ সহ দেশদ্রোহের অভিযোগ এনে বিচার চালাচ্ছে সামরিক সরকার।