Mali Attack: জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত আফ্রিকা, মালি সেনার প্রত্যাঘাতে নিহত বহু হামলাকারী

জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত আফ্রিকার দেশ মালি। এই দেশটির সেনার প্রত্যাঘাতে নিকেশ বহু জঙ্গি। সাম্প্রতিক সময়ে এত বড় নাশকতা (Mali Attack) আর ঘটেনি আফ্রিকায়।

Mali

জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত আফ্রিকার দেশ মালি। এই দেশটির সেনার প্রত্যাঘাতে নিকেশ বহু জঙ্গি। সাম্প্রতিক সময়ে এত বড় নাশকতা (Mali Attack) আর ঘটেনি আফ্রিকায়। বিবিসি, এপি সহ বিভিন্ন সংবাদসংস্থার খবর, সবমিলে শতাধিক নিহত। মালির সামরিক সরকার জানাচ্ছে, কমপক্ষে ৫০ জন জঙ্গি নিহত। আর জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে,৪৯ জন সাধারণ মানুষ, ১৫ সেনাকর্মীর। চরম ইসলামপন্থী গোষ্ঠী জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম) নাশকতায় জড়িত বলে জানাচ্ছে মালির সামরিক সরকার।

মালির সেনা সরকার জানাচ্ছে, জঙ্গিদের জোড়া  হামলা হয় নাইজার নদীর তিম্বুকটু শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী নৌকা এবং গাও অঞ্চলের বাম্বাতে সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে।হামলাকারী জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম)গোষ্ঠি আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ। হামলাকারীদের নিকেশ করা হয়েছে। জঙ্গি হামলার পর দেশে পালিত হচ্ছে তিন দিনের শোক।

রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে তিরিশ হাজারের এরও বেশি বাসিন্দা শহর ছেড়ে পালিয়েছে। গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত মালিতে গত 2020 সাল থেকে সামরিক শাসন চলছে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে সামরিক বাহিনী ব্যাপক জনপ্রিয় সমর্থন লাভ করেছিল। এখন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তাহীনতা এবং ক্রমাগত আক্রমণের কারণে মানুষ হতাশা প্রবল। এই সুযোগে বাড়ছে জঙ্গি ততপরতা।

বিবিসি জানায়, মালি দেশটিতে ইসলামপন্থী হামলা মোকাবিলায় সামান্য অগ্রগতি করেছে। গত বছরের মার্চ মাসে 790 জন নাগরিক নিহত হয়। দেশটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জঙ্গি হামলার কেন্দ্রস্থল। মালি থেকেই জঙ্গিরা বুর্কিনা ফাসো এবং নাইজারের মতো উপকূলীয় পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে।