মহরম মিটতেই বিস্ফোরণে রক্তাক্ত পাকিস্তান, নিহতের সংখ্যা বাড়ছে

মহরম মিটতেই বড়সড় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। এই মুহূর্তে রক্তাক্ত পাকিস্তান, নিহতের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে বাড়ছে।…

মহরম মিটতেই বড়সড় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। এই মুহূর্তে রক্তাক্ত পাকিস্তান, নিহতের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে বাড়ছে। ৮০ জনের উপর আহত বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজনৈতিক মিটিং চলাকালীন। ঘটনাস্থল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রভিন্স। বৈঠকটি ডেকেছিল জামিয়াত উলেমা ইসলাম-ফাজ়ল (JUI-F)। বাজৌর আদিবাসী জেলার রাজধানী খরে হচ্ছিল বৈঠক।

খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী ফিরোজ শাহ জামাল নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করেছেন। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী এলাকার হাসপাতালগুলোকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। আমরা গুরুতর রোগীদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পেশোয়ার এবং অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এই মুহূর্তে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া। বিস্ফোরণের স্থানটি ঘিরে রাখা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আমাদের অপারেশনে সহায়তা করছে।

ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত সবাই।অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে এসেছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে। রহিম শাহ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিস্ফোরণের সময় সম্মেলনে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রবল বিস্ফোরণ হয়। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর দেখিসর্বত্র রক্ত। কয়েকজন চিৎকার করে গুলিও ছুড়ছিল।

পাকিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছেন খর এলাকার JUI-F-এর একজন বিশিষ্ট নেতা মৌলানা জ়িয়াউল্লাহ জান। এমনটাই বাজাউর জেলা জরুরি কর্মকর্তা সাদ খান পাকিস্তানের দৈনিক Dawn-কে জানিয়েছেন। তিনি নিহতের সংখ্যা নিয়েও জানান। সাদ খান বলেন যে আহতদের দ্রুত পেশাওয়ার এবং টিমারগেরার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সের সারি। দ্রুত আহতদের ঘটনাস্থিল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে ঘটনার পর পুরো এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।