ওয়াশিংটন: জেফ্রি এপস্টিন সংক্রান্ত নথি নিয়ে ফের বিতর্কে উত্তাল মার্কিন রাজনীতি। এবার সরাসরি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করলেন টেসলা ও এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এর মালিক এলন মাস্ক।
এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ একাধিক পোস্টে মাস্ক ইঙ্গিত দেন, এই নথি এখনও প্রকাশ না হওয়ার পেছনে মূল কারণ ট্রাম্প৷ তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘এইবার বড় বোমাটা ফাটানোর সময় এসেছে৷ @realDonaldTrump–এর নাম রয়েছে এপস্টিন ফাইলে। এটাই আসল কারণ যে ফাইলগুলো এখনও প্রকাশিত হয়নি। ভালো থাকবেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প।” পরবর্তী পোস্টে মাস্ক আরও লেখেন, “এই পোস্টটা স্মরণে রাখুন। সত্যি একদিন সামনে আসবেই।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই দাবির পরপরই মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা মার্কিন বিচার দফতর (DOJ) এবং FBI–কে তদন্তের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁরা চাইছেন, এলন মাস্কের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে এপস্টিন সংক্রান্ত সমস্ত নথি অবিলম্বে জনসমক্ষে আনা হোক।
পুরনো বিতর্ক, নতুন মাত্রা Jeffrey Epstein Files Controversy
বিতর্কিত ধনকুবের জেফ্রি এপস্টিন ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কের এক কারাগারে আত্মহত্যা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে বহু নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন ও পাচারের অভিযোগ ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলার সঙ্গে যুক্ত নামগুলোকে ঘিরে জনমানসে চাঞ্চল্য রয়েছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি যেমন- প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে কোনও না কোনওভাবে জড়িত ছিলেন। ‘The Hill’ এর একটি পুরনো রিপোর্ট অনুযায়ী, এইসব নাম আদালতের নথিতেও উঠে এসেছে।
ট্রাম্পের অবস্থান
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কিছু না থাকলে এপস্টিন–সংক্রান্ত নথি প্রকাশে তিনি “অসুবিধা দেখেন না”।
কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র প্রকাশ করা হয়নি। এলন মাস্কের বক্তব্যে এ বার প্রশ্ন উঠছে—এই ‘দেরির’ নেপথ্যে কি সত্যিই রয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ অথবা চাপ?
মাস্ক বনাম ট্রাম্প: সম্পর্কের পতন
এক সময় এক্স–এ ট্রাম্পকে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন মাস্ক, এমনকি তাঁদের রাজনৈতিক মেলবন্ধনের কথাও সামনে এসেছিল। তবে ২০২৫-এ এসে সেই সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে তাঁরা একে অপরকে প্রকাশ্যেই আক্রমণ করছেন। এই ব্যক্তিগত রাজনৈতিক উত্তেজনাও মাস্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
World: US politics ignited: Elon Musk directly names Donald Trump in Jeffrey Epstein files controversy, hinting at Trump’s role in delaying their release. Democrats demand immediate investigation. Epstein, accused of child sex trafficking, died in 2019. Uncover the full story.