গাজায় কঠিন পরিস্থিতি হবে ইজরায়েলি সেনার, যুদ্ধ বিশারদ পুতিনের বিশ্লেষণ

হামাসের রকেট হামলার পর ইজরায়েল ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা শহর ঘিরে রেখেছে। বিদ্যুৎ, জলের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এরই…

হামাসের রকেট হামলার পর ইজরায়েল ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা শহর ঘিরে রেখেছে। বিদ্যুৎ, জলের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বক্তব্য সামনে এল। পুতিন বলেন, ইজরায়েলের স্থল অভিযান সহজ হবে না। এরফলে এত সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পুতিন এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করেছেন, যখন তার দেশ নিজেই ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা শহরের ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে সরে যেতে বলেছে। গত সপ্তাহে হামাসের হামলার জবাবে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী যুদ্ধ ট্যাঙ্ক দিয়ে গাজা ঘিরে রেখেছে এবং স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আবাসিক এলাকায় ভারী অস্ত্রের ব্যবহার সব পক্ষের জন্যই মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে। সবচেয়ে বড় কথা, সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন মূল বিষয় হলো রক্তপাত বন্ধ করা।

এর আগে বুধবার ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার ফলে সৃষ্ট সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভূমিকার’ সমালোচনা করেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি অনেকেই আমার সঙ্গে একমত হবেন যে, এটি আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য নীতির ব্যর্থতার উজ্জ্বল উদাহরণ।

পুতিন বলেন, ‘আমেরিকা শান্তি চুক্তিতে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো মনোযোগ দেয়নি।’

পুতিন ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইন উভয় পক্ষের উপর ওয়াশিংটনের চাপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে আমেরিকা ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক স্বার্থবিবেচনা না করে একটি “একতরফা সমাধান” বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে, যার মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনে উল্লিখিত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনও রয়েছে।

পুতিন দাবি করেন, আমেরিকা কখনোই ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক স্বার্থ বিবেচনা করেনি। মস্কোতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সুদানির সঙ্গে বৈঠকের সময় পুতিন এই মন্তব্য করেন। তিনি ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে উভয় পক্ষের বেসামরিক নাগরিকদের ন্যূনতম ক্ষতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছিলেন।