ইজরায়েল ধংসে ভয়ঙ্কর মিসাইল নিয়ে তৈরি ইরান, আতঙ্কিত আমেরিকা

ইজরায়েল হামাস সংঘাত ১৯ দিন পার হলেও যুদ্ধ বন্ধের নাম নেই। চলমান সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ইরান ও তার মিত্ররা এই সংঘাতে যোগ…

ইজরায়েল হামাস সংঘাত ১৯ দিন পার হলেও যুদ্ধ বন্ধের নাম নেই। চলমান সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ইরান ও তার মিত্ররা এই সংঘাতে যোগ দিতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্ররাষ্ট্র।ইরানকে নিয়ে আর দশটা প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের থেকে বেশি চিন্তিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে গোটা বিশ্বে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে। যখনই নিজেদের স্বার্থের বিষয়ে এসেছে তখন আমেরিকা নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। জারি করেছে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা কিন্তু এরপরেও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের থেকেও কেন বেশি ভয় পায় ইরানকে ?

একটু ইতিহাস দেখলে দেখা যায় আজকে যে নিষেধাজ্ঞার সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা শুরু হয়েছিল ৯০ এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ভয়াবহ রাজনীতি গোটা বিশ্বজুড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

বিশ্লেষকদের দাবি, মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের দাবি করে অনুমোদন দেওয়া হলেও বেশিরভাগ সময় ভুল রাজনৈতিক স্বার্থসহ অন্যান্য বিষয় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টিকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী বিভিন্ন দেশকে পরিচালনা করছে। ঠিক এখানেই ইরানের কাছে ব্যর্থ হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কেননা আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েও ইরানকে থামাতে পারে না। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইরান ছিল বিশ্বের সবথেকে বেশি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ। ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ ছিল ৩৬১৬ টি।

এই দেশটির বিরুদ্ধে আমেরিকা, রাষ্ট্রপুঞ্জ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া কানাডা ইজরায়েলের মতো দেশ এবং সংগঠনগুলো ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল৷ এত নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশগুলো ইরানের অর্থনীতিকে থামাতে পারেনি।ইজরায়েলকে সমর্থন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিকে সমর্থন করছে ইরান। ইজরায়েলকে থামানোর জন্য প্রস্তুত নিচ্ছে ইরান ৷

মাত্র ৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিবকে ধ্বংস করতে সক্ষম ইরানের হাইপার সুপারসনিক মিডিয়াম রেঞ্জের মিসাইল ফাত্তাহ। বলা হয় শব্দের থেকে ১৫গুন বেশি গতিতে ১৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে সহজে ধ্বংস করে দিতে পারে এই মিসাইল। এটি ইসরাইলের আয়রনডোম তো বটেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এন কে প্লাস্টিক মিসাইল সিস্টেম সহ সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এর থেকে আন্দাজ করা যায় ইরানের সামরিক শক্তি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

আবার এটাও ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়া যদি ইরানকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে তবে ইরানের ক্ষমতা আরও বাড়বে।যা বিপদে ফেলবে পশ্চিমা দেশগুলোকে৷ এছাড়াও কয়েক মাস আগে সৌদি আরব এবং ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের কারণে নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ফের ঐক্য স্থাপন হোক চায়না আমেরিকা। শুধু ইজরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয় অধিকাংশ পশ্চিমাদেশ তা চায়না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েল বিভিন্ন ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে। অন্য রাষ্ট্রকে নানা কৌশলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইরানকে সামলানো কিন্তু বেশ কঠিন।ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে না জড়াতে চেয়ে আবার এটা প্রমান করল আমেরিকা।