Israel-Palestine War: খোঁচা খাওয়া বাঘ ইজরায়েল, কাতারি আমিরের কূটচালে যদি বিশ্ব বাঁচে

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: পারস্য উপসাগরের তীরে ঝুপ করে সন্ধে নেমে এলো। দেখলাম আজ সাগরে তেমন ঢেউ নেই। তবে আমার অফিসে উঠেছে খবরের ঢেউ। একটাই…

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: পারস্য উপসাগরের তীরে ঝুপ করে সন্ধে নেমে এলো। দেখলাম আজ সাগরে তেমন ঢেউ নেই। তবে আমার অফিসে উঠেছে খবরের ঢেউ। একটাই প্রশ্ন ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন সংঘাতের (Israel Palestine war) মাঝে কাতার কী করবে? এ দেশ কি বিশ্বকে বিরাট যুদ্ধের করুণ পরিণতি থেকে মুক্ত করতে পারবে? কাতারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ আমলা আমাকে যা বললেন তা বিশ্ব সংবাদের সবথেকে গরম বার্তার একটি। কাতার সরকারের সাথেই ইতিবাচক আলোচনা চলছে হামাসপন্থীদের। যুদ্ধ বন্ধ করতে ইজরায়েলের সাথেও আলোচনায় অংশ নেবেন এদেশের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি (Tamim bin Hamad Al Thani)। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে কাতারি আমিরের ভূমিকা সেই ফুটবল বিশ্বকাপ আসরে প্রভূত দেখা গেছিল।

কাতার একমাত্র দেশ যাদের সাথে সরাসরি আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক তালিবানের যোগাযোগ আছে। এই রাজধানী দোহা শহরেই আছে তালিবানের কর্পোরেট অফিস। কাতারের প্রত্যক্ষ সমর্থন প্যালেস্টাইনের জন্য। সেই সুবাদে শনিবার যখন হামাস সংগঠনের হামলায় রক্তাক্ত হচ্ছিল ইজরায়েল তখন ফিলিস্তিনি আবেগে ভাসছিল পুরো আরব বিশ্ব। কাতারের রাজপথে সে কী উন্মাদনা। তবে কাতার সরকার ছিল সংযত। এবার তাদের কূটনৈতিক চাল শুরু হলো।

   

কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ভিতরকার কিছু কথা যা জানতে পারছি তা আসন্ন ঝড়ের পূর্বাভাস। ইজরায়েলের উপর যে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে বিশ্ব জুড়ে ফিলিস্তিনি আবেগের ঝড় তুলেছে হামাস সদস্যরা, তার পরিণতি ভয়াবহ হতে চলেছে। ইজরায়েলের সাময়িক ব্যর্থতা যেন খোঁচা খাওয়া বাঘ। এমন পরিস্থিতিতে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জমিন নেতানিয়াহুর আলোচনা কতদূর সদর্থক হবে তা কোটি কোটি দিনারের প্রশ্ন।

জানতে পারছি,কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা হামাস কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। কী আছে সেই আলোচনায়? অসমর্থিত সূত্রে জানলাম, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দি বিনিময় হবে। কাতারের মরিয়া চেষ্টা কতদূর এগোতে পারবে তা স্পষ্ট নয়। আরব বিশ্বের সাথে যে নতুন করে সংযোগ করছিল ইজরায়েলের মতো চরম আরব বিরোধী দেশ, তাতে এক বালতি রক্ত ঢেলে আলোচনার রাস্তা পিছল করে দিয়েছে হামাস গোষ্ঠি।

পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের এখন শরৎ আবহাওয়া। কাশের দোলা সর্বত্র। ছুটির আমেজ। আর বহু দূরে পারস্য উপসাগর তীরে সেসব নেই, তবে আছে বহু মানুষের জীবন জীবিকার দৌড়। যেটি বজায় রাখতে কাতার সরকারের আলোচনা সদর্থক হোক মনে করছেন সাধারণ সবাই। কে না জানে আরব বিশ্বে কোনও এক কোনে কিছু একটা হলে তার ফল হয় মারাত্মক।