Iran Hijab Protest: ‘হিজাব পরব না আমরা’ গণবিক্ষোভে রক্তাক্ত ইরান

হিজাব বিরোধী হাজার হাজার ইরানি (Iran Hijab Protest).জনতার উপর পুলিশের গুলি চালনায় ঠিক কত জনের মৃত্যু তা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। তবে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের…

হিজাব বিরোধী হাজার হাজার ইরানি (Iran Hijab Protest).জনতার উপর পুলিশের গুলি চালনায় ঠিক কত জনের মৃত্যু তা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। তবে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি পুলিশের গুলিতে হিজাব বিদ্রোহীদের মধ্যে কমপক্ষে ৮ জন নিহত। গুলিতে জখম বহু। নিহতের সংখা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা।

Iran

বিবিসির খবর, হিজাব বিরোধী গণবিক্ষোভ ইরান সরকার শক্ত হাতে নিয়ন্ত্র়ন করার বার্তা দিয়েছে।  মাহাসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে  নিহতের সংখ্যা শতাধিক। বৃহস্পতিবার ছিল আমিনির মৃত্যুর পর চল্লিশ  দিনের দিন শোক পালন। আমিনির কবরে শোক জানান হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।

রয়টার্সের খবর, আমিনির কবরে শোক পালনের জমায়েত থেকে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুনিশ। নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।

Iran

হিজাব ঠিকমত না পরার অভিযোগে ইরানি-কুর্দিস মাহসা আমিনিকে (Amini) গ্রেফতার ও তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ দেশটিতে প্রবল গণবিক্ষোভ চলছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, কুর্দিস জাতিভুক্ত মাহসা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন উপলক্ষে তাঁর কবরের পাশে জমায়েত হয়। বিক্ষোভকারীরা নারী স্বাধীনতা স্বৈরশাসকের মৃত্যু ও কুর্দিস্তান হবে ফ্যাসিস্টদের কবরস্থান বলে স্লোগান দেন। এর পরেই গুলি চালায় পুলিশ।  শুরু হয় সংঘর্ষ।

  • ইরানে থাকা কুর্দিসরা বিক্ষোভে ও সংঘর্ষে নেমেছেন।
  • কুর্দিস্তান ছড়িয়ে আছে ইরান, ইরাক, সিরিয়া সহ কিছু দেশে।
  • কুর্দ মহিলারা  ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের নির্বিচারে খতম করার নজির গড়েছেন আগেই
  • কুর্দরা স্বাধীনচেতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামি মুক্ত

বিস্তারিত পড়ুন

ইরান জুড়ে আওয়াজ হিজাবপন্থী ফ্যাসিস্ট সরকার নিপাত যাক। সেই সঙ্গে চলছে হিজাব পোড়ানোর পর্ব। ইরানে গণঅভ্যুত্থানে পহ্লবী রাজতন্ত্র পতনের পর যে গণতান্ত্রিক দেশ তৈরি হয়েছিল তাতে ক্রমে ধর্মীয় শাসন কায়েম হয়েছে এমন অভিযোগে আগেও বিক্ষোভ হয়। তবে এবার  এতবড় বিক্ষোভ ১৯৭৯ সালে রাজতন্ত্র বিরোধী গণবিক্ষোভের সমতুল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

রয়টার্সের খবর, ইরানের হিজাব বিদ্রোহ দমনে দেশটির সরকার চরম মনোভাব নিয়েছে। ততই বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে। বিশেষত কুর্দ জাতি অধ্যুষিত এলাকায় চলেছে সংঘর্ষ।

কুর্দ জাতিভুক্তরা মূলত স্বাধীনচেতা। তারা ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত। কুর্দিসরা হিজাব পরা পছন্দ করেননা। তবে ব্যক্তিগত কাজে কুর্দিস আমিনি হিজাব পরেই তেবরান আসছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান মাহসা আমিনি। অভিযোগ আমিনিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।

আল জাজিরার খবর, আমিনির মৃত্যুর পর থেকে সঠিক তদন্ত ও পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশের গুলি চালনায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত।

Iran2

তেবরান থেকে ইরনা নিউজ জানাচ্ছে, ইরান জুড়ে যে বিক্ষোভের পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।