Attack On Israel: ৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিব ‘ধ্বংস’! ইজরায়েলকে হুমকি ইরানের

মাত্র ৪০০ সেকেন্ডে অর্থাৎ সাড়ে ছয় মিনিটের মধ্যে তেল আবিব উড়িয়ে দিতে পারবে এমন হাইপার সোনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত আছে ইরান। সেই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ফাত্তাহ।চলতি…

মাত্র ৪০০ সেকেন্ডে অর্থাৎ সাড়ে ছয় মিনিটের মধ্যে তেল আবিব উড়িয়ে দিতে পারবে এমন হাইপার সোনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত আছে ইরান। সেই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ফাত্তাহ।চলতি বছরের জুন মাসে এই মিশাইল জনসম্মুখে উন্মুক্ত করা হয়। প্রায় শব্দের থেকে ১৫ গুন দ্রুত গতিতে ১৪০০ কিলোমিটারের দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। এই মিসাইল উন্মোচনের পর জোরালো বার্তা প্রকাশ করে ইরান। রাজধানী তেহরানে দাঁড় করানো হয় মিসাইলের ছবি সহ একটি বিলিবোর্ড। যার উপর বড় বড় করে লেখা ছিল ‘৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিব ‘ অর্থাৎ ৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিব পৌঁছাতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।এরমাধ্যমে মূলত তাদের প্রধান শত্রু ইজরায়েলকে সরাসরি হুমকি দেয় ইরান। ইজরায়েল এই হুমকির উত্তরে বলে, ইরানের যেকোনো হুমকির উত্তর দিতে প্রস্তুত তেল আবিব।

হামাসের সশস্ত্র অভিযান এবং গাজা উপত্যকা ইজরায়েলের বিমান হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে তৈরি হয়েছে তুমুল উত্তেজনা | এরমধ্যে ইরানের সেই হাইপার সোনিক মিসাইলের ছবিটি আবার নতুন করে আলোচনা এসেছে। জেরুজালেম পোষ্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয় ২০২২ সালের জুন মাসের হাইপার সোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় ইরান। সেই সময় ইরানের একটি পত্রিকার প্রথম পাতায় একটি হুমকিমুলক বার্তা প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয় ইরানের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ৪০০ সেকেন্ডে ইজরায়েলে আঘাত হানতে পারবে৷ ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান জানায় ইরান হাইপার সোনিক মিসাইল এর প্রযুক্তি হাতে পেয়ে গেছে। এদিকে গেম চেঞ্জার হিসেবে অভিহিত করে ইরান তা ঠিক সাত মাস পর ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্মোচন করে।

ইরানের কর্মকর্তারা বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইজরায়েলের আয়রন ডোম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেমসহ অত্যাধুনিক সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ভেদ করতে সক্ষম।আরও দাবি করা হয়, ইজরায়েলের যেকোনো জায়গায় হামলা চালাতে পারে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র। কোনো ধরনের প্রতিরক্ষা দিয়ে ফাত্তাহকে ঠেকানো যাবে না। পরমাণু বোমা বহনেও সক্ষম মিসাইলটি।

ইরানের কেরমানশাহ প্রদেশ থেকে তেল আবিবের দূরত্ব ১ হাজার কিলোমিটার। ফাত্তাহর পাল্লা ১৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে ইজরায়েলের বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইরান এখনও সম্পূর্ণভাবে হাইপাসনিক মিসাইল তৈরি করতে পারেনি। যদি সফলভাবে তৈরি করেই ফেলে, তাহলে সেটি ইসরাইলের জন্য বড় হুমকি।