মালির পশ্চিমাঞ্চলীয় কোব্রি এলাকায় পাঁচ ভারতীয় নাগরিকে অপহরণ করা হল৷ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সশস্ত্র জঙ্গিরা তাঁদের তুলে নিয়ে যায় বলে শনিবার নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সরকারি সূত্র। অপহৃতরা স্থানীয় এক বিদ্যুৎ সংস্থায় কর্মরত ছিলেন, যারা মালির গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতায়ন প্রকল্পে কাজ করছিল।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওই সংস্থার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, অপহরণের ঘটনার পরপরই বাকি ভারতীয় কর্মীদের রাজধানী বামাকোতে সরিয়ে আনা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী অপহরণের দায় স্বীকার করেনি।
চরম নিরাপত্তা সংকট
বিগত কয়েক বছর ধরেই পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটি চরম নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে রয়েছে। আল-কায়েদা এবং আইএস-ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠন গ্রুপ ফর দ্য সাপোর্ট অব ইসলাম অ্যান্ড মুসলিমস (JNIM) সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের দখলদারি আরও বাড়িয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি সরবরাহ অবরুদ্ধ করে তারা মালির অর্থনৈতিক অবস্থা প্রায় স্তব্ধ করে দিয়েছে।
জেহাদি হামলার পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের অপহরণের ঘটনাও মালিতে নতুন নয়। ২০১২ সালে তুয়ারেগ বিদ্রোহ থেকে জন্ম নেওয়া জেএনআইএম এখন উত্তর মালি থেকে দেশের মধ্যভাগ হয়ে প্রতিবেশী বুর্কিনা ফাসো ও নাইজার পর্যন্ত বিস্তার ঘটিয়েছে।
আগেও অপহরণ হয়েছে Indian Nationals Kidnapped Mali
গত সেপ্টেম্বরেই বামাকোর কাছ থেকে দুই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নাগরিক এবং এক ইরানির অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।
বর্তমানে মালি একটি সামরিক জান্তার অধীনে শাসিত দেশ। সেনা প্রধান আসিমি গইতা ফ্রান্স ও আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন করে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু তাতেও জঙ্গিদমন তৎপরতায় তেমন সাফল্য আসেনি। রাজধানী বামাকো আপাতত সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, জেএনআইএম জঙ্গিদের অগ্রযাত্রা যে ক্রমেই তার দিকে এগোচ্ছে, তা নিয়েই এখন উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রক এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে সূত্রের খবর, বামাকোতে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।


