ইজরায়েল ও হামাস গোষ্ঠির মধ্যে সংঘর্ষে গাজা (Gaza) উপত্যকায় অবিরাম চলছে গোলাবর্ষণ। নতুন করে জারি হয়েছে এলার্ট। গাজা উপত্যাকার সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রাণে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় দিতে হয়েছে শরণার্থী শিবিরে। সবকিছু ছেড়ে আসলেও প্রিয় পোষা পাখিকে ফেলে আসেনি ফিলিস্তিনি শিশু আজমি দিয়াব। পাখি নিয়ে এসেছে শরণার্থী শিবিরে। সেখানেই চলছে যত্ন। পোষ্যের প্রতি আজমির এমন ভালোবাসা আলোড়ন তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
১৩ বছর বয়সী আজমি দিয়াব। জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের রিফিউজি এজেন্সির একটি স্কুলে। খালি পায়ে এক কাপড়ে তাকে পালিয়ে আসতে হয়েছে।ছেড়ে আসতে হয়েছে প্রিয় খেলনা খেলার মাঠ এবং বন্ধুদের।
ছোট্ট দিয়াব জানিয়েছে বন্ধু-পড়ালেখা সবকিছু ছেড়ে এখানে এসেছি। জানিনা কোনদিন ফিরে যেতে পারব কিনা। আমার বন্ধুরা বেঁচে আছে কিনা তাও আমি জানিনা। রাতের আঁধারে যখন খালি পায়ে দৌড়াচ্ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল ক্যাম্প পর্যন্ত যেতে পারব না।
তবে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও নিজের পোষা পাখিকে ফেলে আসতে পারেনি দিয়াব। সাথে করে এনেছে রিফিউজি ক্যাম্পে। নিজের থাকা খাওয়া নিশ্চয়তা না থাকলেও পাখির যত্নে কোন কমতি নেই। তার কথা অনুযায়ী, সে অনেক যত্নে পাখিটিকে বড় করেছে। গোলাগুলি রকেট বোমায় যাতে মারা না যায় তাই সাথে করে এনেছে।
রাষ্ট্রসংঘ নিয়ন্ত্রিত শরণার্থী শিবির গুলিতে আশ্রয় নিয়েছে আজমির মতো বহু শিশুর ও তাদের পরিবার। উল্লেখ্য,প্রায় এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার আকাশপথে গাজা ভূখণ্ডে বোমা বর্ষণ করে গিয়েছে ইজরায়েল। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ২,৩২৯ জন প্যালেস্টিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলে গত শনিবার ফিলিস্তিনি সংগঠন হানাদার হামলায় থেকে ১,৩০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।