থামছে লড়াই? যুদ্ধে ইতি টানতে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

ওয়াশিংটন: ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা শুরু করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ…

থামছে লড়াই? যুদ্ধে ইতি টানতে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

ওয়াশিংটন: ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা শুরু করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে, যেখানে যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, “আমরা দেখতে চাই, সম্ভব হলে এই যুদ্ধ শেষ করতে পারি, হয়তো পারব, হয়তো পারব না, তবে আমি মনে করি, আমাদের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে।”

এমন সময় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যখন রাশিয়া সোমবার ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এবং ন্যাটো সদস্যপদ থেকে কিয়েভকে বাদ রাখার দাবি জানিয়েছে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো বলেন, “কোনও শান্তি চুক্তি হবে না যতক্ষণ না রাশিয়ার নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিশ্চিত হয়। ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করা এবং ন্যাটো সদস্যপদ না দেওয়ার শর্ত থাকা জরুরি।”

   

যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানালেও, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার শর্তগুলোকে যুদ্ধবিরতির পথকে বিলম্বিত করার একটি কৌশল হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, “পুতিন সরাসরি ট্রাম্পকে বলছেন না যে তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, তাই তারা শান্তির প্রস্তাবকে শর্তসাপেক্ষে আটকে রাখতে চাইছে।”

মার্চের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সৌদি আরবে এক দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেই বৈঠকের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “কিয়েভের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়।”

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি আলোচনার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলেও, তিনি জানিয়েছেন যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূর্ণ না হলে চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “আমরা শান্তির জন্য প্রস্তুত, তবে কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন।”

এখন প্রশ্ন, ইউক্রেনের এই পরিস্থিতি কি শিগগিরই স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাবে, নাকি আলোচনার এই নতুন দফা শুধুই দীর্ঘায়িত হবে? সময়ই বলে দেবে।