Washington Post Strike: আজ খবর ছাপা বন্ধ আছে…ওয়াশিংটন পোস্টে সাংবাদিক ধর্মঘট

উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিশ্ববিখ্যাত সংবাদপত্র ‘Washington Post’-এর সাংবাদিক ও সংবাদ প্রকাশনা বিভাগ কর্মীরা ধর্মঘট (Washington Post Strike) শুরু করলেন।…

উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিশ্ববিখ্যাত সংবাদপত্র ‘Washington Post’-এর সাংবাদিক ও সংবাদ প্রকাশনা বিভাগ কর্মীরা ধর্মঘট (Washington Post Strike) শুরু করলেন। এর ফলে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ। তবে ওয়েব সংস্করণ চলছে। একদিনের এই সাংবাদিক ধর্মঘট প্রতীকি। ভবিষ্যতে আরও বড় ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিকরা। অভিযোগ, আমাজনের মালিক ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদ প্রতিষ্ঠানে আমাজনের সংস্কৃতি ‘নিংড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেল’ চালু করেছে।

ওয়াশিংটন পোস্টে ধর্মঘটের জেরে বিশ্বজোড়া সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলিতে চরম উত্তেজনা। সরবে, নীরবে সাংবাদিকরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন। এর আগে ১৯৭৫-৭৬ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রেসের কর্মীরা টানা ২০ সপ্তাহ ধর্মঘট করেছিলেন।

ওয়াশিংটন পোস্ট সাংবাদিকদের ইউনিয়ন জানিয়েছে  পাঠক এবং দর্শকদের কাছে অনুরোধ, ‘‘বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, চব্বিশ ঘন্টা কাজে থাকছি না আমরা। আপনারাও দয়া করে কোনও ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-র কোনও সংবাদ দেখবেন না। কোনও সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করবেন না সোশাল মিডিয়ায়।’’

ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে গত বছরে ছাঁটাই করা হয়েছিল ৪০ জনকে। এবার আরও ৯৪০ জনকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ এমনই অভিযোগ। আরও অভিযোগ, আমেরিকার এই সংবাদ প্রতিষ্ঠানটি আমাজনের মালিক জেফ বেজোসের হাতে চলে যেতেই সাংবাদিক ছাঁটাই শুরু হয়। প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিলেন সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকরা জানিয়েছেন কাজের শর্ত, বেতন এবং ভাতা কাঠামো নিয়েও প্রায় দেড় বছর দাবি জানানো হচ্ছে। গত ১৮ মাসে একটিও সমস্যা সমাধান করেনি কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিকদের অভিযোগ, সমস্যার জন্য দায়ী মালিকপক্ষ। তাদের অদক্ষতার দায় মেটাতে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের। সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু কাজ করছেন। কিন্তু তাদের প্রাপ্য মেটানো হচ্ছে না।