শুক্রবার রাতে মরক্কোতে শক্তিশালী ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১,০০০ ছাড়িয়েছে। মরোক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে জরুরী ভিত্তিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে। মনে করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শনিবার সকালে মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কমপক্ষে ১,০৩৭ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, যার বেশিরভাগই পর্যটন শহর মারাকেশ এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের নিকটবর্তী পাঁচটি প্রদেশে। এছাড়াও আরও ১,২০৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানান হয়েছে।
মরক্কোর বিভিন্ন অংশ থেকে ছবি এবং ভিডিও যা সামনে আসছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্কে-ভয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় ছুঁটছেন। মনে করা হচ্ছে আজকের এই ভূমিকম্প গত ১২০ বছরে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে হওয়া সব থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্প। মরক্কোর পরিকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হল কারণ এর প্রাচীন শহরগুলি যা পাথরের কাঠামোর উপর নির্ভর তা ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এগিয়ে এসেছে ভারতও। সমবেদনা জানিয়ে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যান্য দেশও সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। গত বছর আলজেরিয়া মরক্কোর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এগিয়ে এসেছে আলজেরিয়াও। শনিবার আলজেরিয়ে জানিয়েছে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মরক্কোর পাশে দাঁড়াতে আকাশপথ খুলে দেওয়া হবে মরক্কোয় চিকিৎসা এবং মানবিক সাহায্যের জন্য বিমান পাঠাতে। আলজেরিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয় “ভূমিকম্পে নিহতদের জন্য ভ্রাতৃপ্রতিম মরক্কোর জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা” জানায়।
Algeria to allow Morocco flights after quake despite bad ties https://t.co/b9pYDZljcc pic.twitter.com/QpvstCxp6O
— Reuters (@Reuters) September 9, 2023
মোট আহতদের মধ্যে ৭২১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত উল্লিখিত হতাহতের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ঘটনা ঘটেছে আল-হাউজ, কেন্দ্রস্থল এবং তারউদান্ত প্রদেশে।