বাংলাদেশের (Bangladesh) অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে প্রবল উদ্বেগে রাষ্ট্রসংঘ। দেশটির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির অভিযোগ, আন্দোলন দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেনাবাহিনী রাষ্ট্রসংঘের প্রতীক চিহ্ন দেওয়া ট্যাংক বহর নামিয়েছে। তবে এই অভিযোগের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি সরকারের পক্ষ থেকে। হিংসাত্মক বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক নিহত।
রক্তাক্ত বিক্ষোভে জামাত ও জঙ্গি সংযোগ আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবেই সরকার।
বিবিসি’র খবর, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ থেকে যে হিংসা ছড়িয়েছিল সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। পড়ুয়াদের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ মঞ্চ সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে। সংগঠনটি শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই ‘গণসংযোগ’ কর্মসূচি পালন করবে বলে বার্তা দিয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল। সেই কোটা সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলনে প্রথমে হামলায় অভিযুক্ত দেশটির ক্ষমতায় থাকা আ়ওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগ। দুপক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভ শুরু হয়। সরকারের অভিযোগ, শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষা না করেই আন্দোলন চলেছিল। আরও অভিযোগ, এই আন্দোলনের সুযোগে জামাত ইসলামিসহ উগ্র ধর্মীয় সংগঠনগুলি ও বিএনপি দল অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিল। রক্তাক্ত পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোটা ব্যবস্থার বিরাট সংস্কার হয়। নতুন নিয়মে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে।
আদালতের নির্দেশের পরেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে ৯ দফা দাবি জানানো হল। এই দাবিপত্র বিএনপি দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। এতে লেখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। মোট ৯ দফার বিবৃতিতে বলা হয়, “হামলা চালিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আহত ও শহীদ করা হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই শুধুমাত্র আদালতের রায় ও প্রজ্ঞাপন দিয়ে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে সরকার দেশব্যাপী চালানো গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না।”